নবনিযুক্ত শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান প্রজন্মকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনেক স্বপ্ন রয়েছে। তাদেরকে কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত করে নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকার কাজ শুরু করেছে। ইতোমধ্যে শতাধিক উপজেলায় কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থা চালু হয়েছে। বাকি উপজেলাগুলোতে ক্রমান্বয়ে এ সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। বৃত্তির সাথে শিক্ষার সম্পর্ক আরো বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীর মধ্যে শেখার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। রাজধানী এবং শহরকেন্দ্রিক চাপ কমাতে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে একই মানদন্ডে উন্নীত করে শিক্ষার বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। যুগোপযোগী শিক্ষা বাস্তবায়নে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তা অতিক্রম করে সকল প্রকার অপপ্রচারের অবসান ঘটিয়ে অচিরেই বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার সুফল প্রতিফলিত হবে।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) প্রেস ক্লাবের পিএইচপি ভিআইপি লাউঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সভার শুরুতে শিক্ষামন্ত্রীকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব এবং চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। সভায় শিক্ষামন্ত্রী উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, আমাদের শিক্ষক, শিক্ষাবিদ, শিক্ষাপ্রশাসন, বিশেষজ্ঞসহ সকলের মতামতের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় পরিচালনা করা হবে।
তিনি আরো বলেন, পুরনো ধ্যান-ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে নতুন প্রজন্মের সবাইকে বেসিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। শুধুমাত্র পরীক্ষার ফলাফলের ওপর নির্ভর না করে বাস্তব শিক্ষায় শিক্ষিত করে দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরির মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়াই হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য। অনেক উন্নত দেশের মাধ্যমিক কিংবা উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়েও অভিভাবকরা সপ্রণোদিত হতে তাদের সন্তানদের দিয়ে মাঠে-ঘাটে কাজ করতে উৎসাহ যোগান। আমাদেরও হীন মনমানসিকতা পরিহার করে বিশ্বের সাথে তাল মিলানোর যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। আমরা অনেক পেছন থেকে এই পর্যায়ে এসেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে দেশে প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। বেড়েছে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ। আগামী ৫ বছরে শিক্ষাক্ষেত্রে আরো বেশি সাফল্য দৃশ্যমান হবে।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক। চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)’র সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান ও কলিম সরওয়ার, সিইউজে সভাপতি তপন চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি চৌধুরী ফরিদ, সিইউজে সিনিয়র সহসভাপতি রুবেল খান, প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার।
প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা বলেন, আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান। শিক্ষাক্ষেত্রে তিনি ইতোমধ্যে সফলতার সাক্ষর রেখেছেন। আগামীতে আরো বেশি ভূমিকা রাখবেন বলে আশা রাখি। শিক্ষার পাশাপাশি তিনি দক্ষ জনশক্তি গড়ার কারিগর।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী বলেন, বিগত সময়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ দায়িত্ব তাঁর ওপর অর্পন করেছেন। এই দায়িত্ব পালনেও তিনি আরো বেশি দক্ষতার পরিচয় দেবেন বলে সকলের বিশ্বাস।
এ সময় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দ, রাজনীতিবিদ এবং বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার বিপুল সংখ্যক সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।