হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) রাত ১১টা ২৪ মিনিটে হাটহাজারীতে অনুষ্ঠিত স্মরণকালের বৃহত্তম জানাযায় ঢল নামে মানুষের।
মূল জানাযাস্থল আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসা ছাপিয়ে চট্টগ্রাম- খাগড়াছড়ি সড়কের কয়েক কিলোমিটার জুড়ে ছিল জানাযার ব্যাপ্তি।
হাটহাজারীর ডাক বাংলোর সামনে রাখা হয় বাবুনগরীর কফিন। জানাযায় ইমামতি করেন, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর মামা ও হেফাজতের ভারপ্রাপ্ত আমীর আল্লামা মহিবুল্লাহ বাবুনগরী।
জানাজায় মানুষের উপস্থিতি বেশি হওয়ায় মরদেহবাহী গাড়ি দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদরাসা থকে জানাজার আগে নিয়ে আসা হয় হাটহাজারী ডাক বাংলোর সামনে। মাদরাসার ভেতর ও আশপাশের বিভিন্ন সড়কে দাঁড়িয়ে মানুষ জানাজায় অংশগ্রহণ করেন।
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে হাটহাজারী মাদরাসায় বাবুনগরীর মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ে আসা হয়। এর আগে মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি ফটিকছড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে পরিবারের সদস্যদের দেখিয়ে রাতে হাটহাজারী মাদরাসায় নিয়ে আসা হয়।
রাত সাড়ে নয়টার দিকে মাদরাসা প্রাঙ্গণে বিপুল লোকের ভিড় হয়। জানাজায় অংশ নিতে আসা মানুষজনকে তখন মাদরাসার বাইরে রাস্তায়ও অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
জানাজায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসার মুসল্লিরা অংশ নেন। জানাযা শেষে বাবুনগরীর লাশ গ্রামের বাড়ী ফটিকছড়িতে দাফন করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তাঁর শয্যা হয় হাটহাজারী হাটহাজারী মাদ্রাসায়, আল্লামা শফির পাশে।
জানাজায় অংশ নেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে অসুস্থ অবস্থায় নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।