তলে তলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে ছাত্রলীগের ভোট নিয়ে ডাকসুতে জিতেছে শিবির — মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, জামায়াত তলে তলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে ছাত্রলীগের সব ভোট নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে শিবির জিতেছে।
আজ বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমানের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনে বিএনপি হেরেছে আপনারা বলতে পারেন। আমি কিন্তু বলতে পারছি না। জামায়াতের এত ভোট কোত্থেকে এল, সেই হিসাব মেলাতে পারছিনা। গভীর ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছি। ২০০৮ এর মতো ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করে ছাত্র লীগের ভোট নিয়ে জামায়াত শিবির ডাকসুতে জিতেছে।


তিনি বলেন, কারণ বিএনপি একটি মাত্র দল বাংলাদেশে, যে দলের হাতে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং মানুষের জানমাল নিরাপদ।
মির্জা আব্বাস জামায়াতকে মোনাফেকের দল উল্লেখ করে বলেন, দেশে ও দেশের বাইরে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। ডাকসুর নির্বাচন থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত। কালকের ইলেকশনে কিন্তু দুইটা কাজই হয়েছে। ২০০৮ সালের মত ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং আবার ছাত্রলীগের ভোট। দেখেন এরা কত বড় মোনাফেকের দল। এদের কারণে ২০০৮ সালের নির্বাচন হয়েছিল।
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুললেও নির্বাচিতদের স্বাগত জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ডাকসু নির্বাচনে যাই হোক, যেভাবেই হোক, ওরা ইলেকশনে পাস করেছে। আমি এই কমিটিকে স্বাগত জানাই। আশা করব, এই কমিটি দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য চেষ্টা করবে এবং তাদের সিনিয়র নেতারা দেশটাকে ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করছে, সেখান থেকে তাদের যেন রক্ষা করবে। একমাত্র বিএনপির হাতেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিরাপদ।
আব্দুল্লাহ আল নোমান শোকসভা প্রস্তুতি কমিটির আয়োজনে সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম আকবর খন্দকার। আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবের রহমান শামীম, বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য সুশীল বড়ুয়া, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. নছরুল কদির, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার ড. ছিদ্দিকুর রহমান, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমান তূর্য সহ অন্যরা।