বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেছেন, এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি, লালদিয়া এবং বে টার্মিনালে বিদেশী অপারেটর নিয়োগের প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করা হবে ।
তিনি বলেন আমাদের ইচ্ছে হচ্ছে, এই ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা বড় পোর্টগুলোর কিছু চুক্তি স্বাক্ষর করে দিতে চাই। কিছু গ্রাউন্ড ব্রেক করা শুরু হয়ে যাবে। নির্বাচনের পর নতুন সরকার আসতে সময় লাগবে। ওই সময় যাতে কাজ থেমে না থাকে। এ কাজগুলো এগিয়ে যেতে থাকবে।
তিনি রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরের ৪ নম্বর গেইটে এজেন্ট ডেস্ক উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সেসময় বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে গ্লোবাল র্যাংকিংয়ে একদম উপরের দিকে থাকতে হবে। এর জন্য বেস্ট অপারেটর নিয়ে আসতে হবে। এজন্য রিফরম করা হচ্ছে বন্দরের ভেতরে।
তিনি বলেন, আমরা এপ্রিল মে মাসে যখন এসেছিলাম প্রশ্ন করা হয়েছিল, দেশি একজন অপারেটর তো খুব ভালো করেছে, উনি ১ দশমিক ৩ মিলিয়ন টিইইউস হ্যন্ডলিং করেছেন। কেন খালি খালি অপারেটর চেঞ্জ করতে হবে? এখন তো আমরা চেঞ্জ করে প্রমাণ করে দিলাম। রিপোর্ট বলছে এ বন্দর থেকে ১ দশমিক ৯ মিলিয়ন টিইইউস পর্যন্ত পাওয়া সম্ভব। গত বছর আমাদের সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল ১ দশমিক ৩। সিডিডিএল প্রত্যাশা করছে এটার ওপরে চলে যাবে। একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে জাতীয় স্বার্থ। দেশের জন্য কোনটা ভালো হবে সেটি করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা সবসময় দেখেছি বাংলাদেশে পাঁচ বছরের পরিকল্পনার প্রকল্প শেষ হয় ১৫ বছরে গিয়ে। তখন গ্লোবাল কম্পিটিশনে আমরা দ্রুত পিছিয়ে যাচ্ছি। পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে আমরা অনেক ধীরে আগাচ্ছি। সেটাকে আমরা ব্রেক করতে চাই। আমরা চাই খুব দ্রুত এ প্রকল্পগুলো কমপ্লিট করবো। আমাদের ইচ্ছে, এই ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা বড় পোর্টগুলোর খুব মাইলস্টোন কিছু প্রগ্রেস করে দিয়ে যেতে চাই। কিছু চুক্তি স্বাক্ষর করে দিতে চাই। কিছু গ্রাউন্ড ব্রেক করা শুরু হয়ে যাবে। নির্বাচনের পর নতুন সরকার আসতে সময় লাগবে। ওই সময় যাতে কাজ থেমে না থাকে। এ কাজগুলো এগিয়ে যেতে থাকবে।
আমরা সবসময় বলে এসেছি, চট্টগ্রাম বন্দরকে গ্লোবাল র্যাংকিংয়ে একদম উপরের দিকে থাকতে হবে। এর জন্য বেস্ট অপারেটর নিয়ে আসতে হবে। রিফরম করা হচ্ছে বন্দরের ভেতরে। একটু আগে একটি সফটওয়্যার উদ্বোধন করলাম। যত বেশি অটোমেট করা যাবে তত বড় সুযোগ। সকালেও ফাইভজি এমওইউ স্বাক্ষর করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। সেখানেও দেখলাম টেকনোলজি কীভাবে ইনভল্ব করতে পারি। একসময় আমরা হয়তো এআই ইমপ্লিমেন্টেশন দেখতে পাব। যখন ফাউন্ডেশন রেডি হয়ে যাবে। আমরা দেখতে চাই যে, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের বন্দরের ক্যাপাসিটি চার-পাঁচগুণ বেড়ে যাবে।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান বন্দর ভবনের বোর্ড রুমে বন্দরের উন্নয়ন ও অপারেশন সংক্রান্ত বিষয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এরপর রবির সঙ্গে ফাইভ জি সার্ভিস চালুর বিষয়ে চু্ক্িত স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেন।