চিটাগং ক্লাবের গেস্ট হাউস থেকে সাবেক সেনাবাহিনীর প্রধান লে. জেনারেল এম হারুন অর রশিদ (বীর প্রতীক) এর মৃতদেহ উদ্ধার : নিকটাত্বীয়রা ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফনের অনুমতি চেয়েছেন

চিটাগং ক্লাবের গেস্ট হাউস কমপ্লেক্সের ৩য় তলার ৩০৮ নং রুম থেকে সাবেক সেনাবাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এম হারুন অর রশিদ (বীর প্রতীক) এর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি ডেসটিনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট হিসেবে একটি মামলার হাজিরা দিতে চট্টগ্রামে এসেছিলেন। আজ ৪ আগস্ট ছিল মামলার ডেইট।

 

তাঁর নিকটাত্বীয়রা জানান ,গতকাল ৩ আগষ্ট বিকেলে সাবেক সেনাবাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারুন চিটাগং ক্লাবে আসেন। রাতে তিনি তাঁর নিকট আত্মীয়ের বাসায় ডিনার সেরে পুনরায় গেষ্ট হাউসে ফিরে বরাদ্ধ রুমে ঘুমাতে যান। আজ সকাল ১০টার পর তাঁকে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। পরে গেষ্ট হাউসে লোকজন ইন্টারকমে পাননি। পওে দরজা নক করলে ভিতর থেকে কোনো সারা পাওয়া যায়নি। পরে গেষ্ট হাউসের লোকজন ১১টার দিকে ভিতরে প্রবেশ করে তাঁকে বিছানায় পড়ে থাকতে দেখতে পায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের চিকিৎসকদের একটি দল চট্টগ্রাম ক্লাবে এসে মরদেহ পরীক্ষা-নিরীক্ষা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশের ডিসি দক্ষিণ সহ কোতোয়ালী থানা পুলিশ, সিআইডি সদস্য এবং সেনা বোহিনীর গোয়েন্দারা মৃতদেহ পর্যবেক্ষণ করেন। ধারণা করা হচ্ছে তিনি হার্ট এ্যটাক করেছেন। বমিও হয়েছে দেখা গেছে।  বিকেল ৩টায় সেনা বাহিনীর এম্বুলেন্সে করে তাঁর মরদেহ চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেয়া হয়েছে । সেখানে আনুষ্ঠানিকতা, সন্ধানীর চোখ ডোনেশন শেষ করে সেনা নিবাসে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এর পর রাতে হাটহাজারীর নিজ গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে যান।
এম হারুন অর রশীদ ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা । তিনি ২০০০-২০০২ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন। রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বও পালন করেন | তিনি ছিলেন চট্টগ্রামের হাটহাজারীর বাসিন্দা । নিকটাত্বীয়রা মরদেহ ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফনের অনুমতি চেয়েছেন। কারণ তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিক এবং হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন জানান তাঁর বোনের স্বামী ।