সাবেক ভূমিমন্ত্রী জাবেদ, তার স্ত্রী, ভাই, বোনসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

৫টি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান খুলে আরামিটের নামে ইউসিবিএল থেকে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবিএল) থেকে আরামিট গ্রুপের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামে পাঁচটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান খুলে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এবং তার স্ত্রী, ভাই, বোনসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ
বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মশিউর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রামের ১ এর উপ পরিচালক মুহাম্মদ হামেদ রেজা মামলাটি গ্রহণ করেছেন।

এজাহারে উল্লেখিত  আসামীরা হলেন, (১) সাইফুজ্জামান চৌধুরী (৫৬) সাবেক ভূমিমন্ত্রী, পিতা- আখতারুজ্জামান চৌধুরী, (২) রুকমীলা জামান (৪৬) সাবেক চেয়ারম্যান, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি, স্বামী- সাইফুজ্জামান চৌধুরী, (৩) মোহাম্মদ ফরমান উল্লাহ চৌধুরী, (৫১) স্বত্বাধিকারী- ভিশন ট্রেডিং ও প্রটোকল অফিসার, আরামিট পিএলসি, পিতা- অলি উল্লাহ চৌধুরী, (৪) মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ (৫১) সাবেক সিনিয়র অফিসার, ইউসিবি পিএলসি, পোর্ট শাখা, চট্টগ্রাম, পিতা- আব্দুল মাজেন, (৫) আবদুল হামিদ চৌধুরী (৫০) সাবেক শাখা প্রধান ও ভিপি, ইউসিবি পিএলসি, পোর্ট শাখা, চট্টগ্রাম, পিতা- আবদুর রউফ চৌধুরী, (৬) জিয়াউল করিম খান (৪৬) সাবেক ক্রেডিট অফিসার, ইউসিবি পিএলসি, পোর্ট শাখা, চট্টগ্রাম, পিতা- ফজলুল করিম খান, (৭) মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল (৫৮) সাবেক এফএভিপি ও ক্রেডিট ইনচার্জ, ইউসিবি পিএলসি, পোর্ট শাখা, চট্টগ্রাম, পিতা-জহুরুল আনোয়ার, (৮) মীর মেসবাহ উদ্দীন হোসাইন (৬২) সাবেক এফএভিপি ও ম্যানেজার অপারেশন, ইউসিবি পিএলসি, পোর্ট শাখা, চট্টগ্রাম, পিতা- এম এইচ হায়দার, (৯) কাজী মোহাম্মদ দিলদার আলম (৬৬) স্বত্বধিকারী- আলফা ট্রেডিং, পিতা- মোহাম্মদ সৈয়দ হোসেন, (১০) মোহাম্মদ মিহাবাহুল আলম (৫০) স্বত্বাধিকারী- মডেল ট্রেডিং ও এও, আরামিট পিএলসি, পিতা-ফরিদুল আলম, (১১) মোঃ আব্দুল আজিজ (৩৯) স্বত্বাধিকারী- ইম্পেরিয়াল ট্রেডিং ও এজিএম, আরামিট পিএলসি, পিতা-মো: আব্দুস সবুর, (১২) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (৫৪) স্বত্বধিকারী, ক্লাসিক ট্রেডিং ও এজিএম, আরামিট পিএলসি, পিতা-মফজল আহমন, (১৩) মেহাম্মদ হোছাইন চৌধুরী (৪৮) কর্মচারী, আরামিট গ্রুপ, পিতা-রমিজ আহমেদ চৌধুরী, (১৪) মো: ইয়াছিনুর রহমান (৪৩) কর্মচারী, আরামিট গ্রুপ, পিতা- হাবিবুর রহমান, (১৫) মোঃ ইউছুফ চৌধুরী (৪৫) কর্মচারী, আরামিট গ্রুপ, পিতা-মো: আজম চৌধুরী, (১৬) মোঃ সাইফুল ইসলাম (৪৫) কর্মচারী, আরামিট গ্রুপ, পিতা- আব্দুল মালেক, (১৭) বজল আহমেদ বাবুল (৫৬) সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, ইউসিবি পিএলসি, পিতা- এম এ বারী, (১৮) এম এ সবুর (৭৭) সাবেক চেয়ারম্যান আরএমসি, ইউসিবি পিএলসি, পিতা- রহম আলী, (১৯) ইউনুছ আহমদ (৭৯) সাবেক পরিচালক, ইউসিবি পিএলসি, পিতা- গুরা মিয়া সওদাগর, (২০) হাজী আবু কালাম (৭৯) সাবেক পরিচালক, ইউসিবি পিএলসি, পিতা- মাষ্টার মোহাম্মদ হাশেম, (২১) নুরুল ইসলাম চৌধুরী (৬২) সাবেক পরিচালক, ইউসিবি পিএলসি, পিতা- সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, (২২) আসিফুজ্জামান চৌধুরী (৪৬) সাবেক পরিচালক, ইউসিবি পিএলসি, পিতা- আখতারুজ্জামান চৌধুরী, (২৩) রোকসানা জামান চৌধুরী (৫৬) সাবেক পরিচালক, ইউসিবি পিএলসি, পিতা- আখতারুজ্জামান চৌধুরী, (২৪) বশির আহমেদ (৫৫) সাবেক পরিচালক, ইউসিবি পিএলসি, পিতা-এম এ বারী, (২৫) আফরোজা জামান (৪৮) সাবেক পরিচালক, ইউসিবি পিএলসি, স্বামী, তৌফিক হুমায়ূন চৌধুরী, (২৬) সৈয়দ কামরুজ্জামান (৬১) সাবেক পরিচালক, ইউসিবি পিএলসি, পিতা- সৈয়দ মোহম্মদ এজহারুল হক, (২৭) মো: শাহ আলম (৬২) সাবেক পরিচালক, ইউসিবি পিএলসি, পিতা- আব্দুল মালেক, (২৮) মো: জোনাইদ শফিক (৬৪) সাবেক পরিচালক, ইউসিবি পিএলসি, পিতা- সফিকুর রহমান, (২৯) অপরূপ চৌধুরী (৬৫) সাবেক পরিচালক, ইউসিবি পিএলসি, পিতা: অজিত কুমার চৌধুরী, (৩০) তৌহিদ সিপার রফিকুজ্জামান (৬৬) সাবেক পরিচালক, ইউসিবি পিএলসি, পিতা: ই এম এ জামান, (৩১) আরিফ কাদরী (৬৪) সাবেক ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইউসিবি পিএলসি, পিতা- কবির উদ্দিন আহমেদগণ কর্তৃক পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতি, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন আরামিট গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীকে মালিক সাজিয়ে নাম সর্বস্ব কাগুজে প্রতিষ্ঠান ভিশন ট্রেডিং এর নামে ভুয়া ও মিথ্যা তথ্য সম্বলিত কাগজপত্র দাখিল করে ঋণ অনুমোদন করিয়ে উক্ত অর্থ বিভিন্ন ভুয়া ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের (সাইফুজ্জামান চৌধুরীর কর্মচারীদের নামে সৃষ্ট আলফা ট্রেডার্স, ক্ল্যাসিক ট্রেডিং, মডেল ট্রেডিং ও ইম্পেরিয়াল ট্রেডিং) ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তরের মাধামে মানিলন্ডারিং করে অপরাধজনক বিশ্বাস ভংঙ্গ করত: ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ২৫,০০,০০,০০০/- (পঁচিশ কোটি) টাকা আত্মসাৎ করে দন্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৪০৬/৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭এর ৫(২) ধারা ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ (২) (৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয় ঢাকা এর ৯ সদস্যের অনুসন্ধান দল অভিযোগটি অনুসন্ধান করেন । টাস্কফোর্সের দলনেতা হিসেবে প্রাপ্ত/সংগৃহীত রেকর্ডপত্র/তথ্যাদি পর্যালোচনায় দেখেন, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন আরামিট লি, এর প্রটোকল অফিসার মোহাম্মদ ফরমান উল্লাহ চৌধুরী-কে ব্যবসায়ী সাজিয়ে ভিশন ট্রেডিং নামীয় প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী উল্লেখ করে মিথ্যা তথ্য প্রদানপূর্বক জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি এর পোর্ট শাখা, চট্টগ্রামে ১৩/১০/২০১৯ ইং. তারিখে একটি চলতি হিসাব খোলেন, যার হিসাব নম্বর: ০৪৯২১০১০০০০০৬৮১৫। ইউসিবিএল এর পোর্ট পাখা, চট্টগ্রামের সিনিয়র অফিসার মোঃ আকরামউল্লাহ এবং শাখা প্রধান ও ভিপি আবদুল হামিদ চৌধুরী কোনরূপ যাচাই বাছাই না করেই বিধি বহির্ভূতভাবে উক্ত হিসাবটি খোলেন।
ভিশন ট্রেডিং নামীয় নামসর্বস্ব কাগুজে প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ ফরমান উল্লাহ চৌধুরী বিগত ১৩/০২/২০২০ ইং. তারিখে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির পোর্ট শাখা, চট্টগ্রামের শাখা প্রধান বরাবর গম, মসুর, ছোলা এবং হলুদ মটর ইত্যাদি ক্রয়ের উদ্দেশ্যে ১৮০ দিনের জন্য ২৫ কোটি টাকার টাইম লোনের জন্য আবেদন করেন। অতঃপর শাখার এফএভিপি ও ক্রেডিট ইনচার্জ মোঃ আব্দুল আওয়াল, এফএভিপি ও ম্যানেজার অপারেশন মীর মেসবাহ উদ্দীন হোসাইন এবং ভিপি ও শাখা প্রধান আব্দুল হামিদ চৌধুরী কর্তৃক বিগত ০৮/০৩/২০২০ ইং তারিখে গ্রাহকের ব্যাবসা, মালিকানা, পণ্য, শো-রুম, গোডাউন, সেলস, স্টক, কর্মচারী, ব্যাংক পারফর্মমেন্স ইত্যাদির মিথ্যা তথ্য সম্বলিত সন্তোষজনক পরিদর্শন প্রতিবেদন প্রস্তুত করতঃ স্বাক্ষর করে দাখিল করেন। পরে ইউসিবিএল, পোর্ট শাখার ক্রেডিট অফিসার জিয়াউল করিম খান, এফএভিপি ও ক্রেডিট ইনচার্জ মোঃ আব্দুল আওয়াল, এফএভিপি ও ম্যানেজার অপারেশন মীর মেসবাহ উদ্দীন হোসাইন এবং ভিপি ও শাখা প্রধান আব্দুল হামিদ চৌধুরীগণের সমন্বয়ে গঠিত শাখার ক্রেডিট কমিটি ঋণের আবেদনকারীর পরিচয়, স্টক, অভিজ্ঞতা, গোডাউন ইত্যাদি মিথ্যা তথ্য উল্লেখপূর্বক কোন প্রকার সহজামানত ছাড়াই ডিশন ট্রেডিংকে ১৮০ দিনের জনা ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে ২৫ কোটি টাকা ঋণ প্রদানের সুপারিশ করে ঋণের প্রস্তাবনা ইউসিবি পিএলসি এর কর্পোরেট ব্যাংকিং ডিভিশনে প্রেরণ করেন। ইউসিবি পিএলসি এর কর্পোরেট ব্যাংকিং ডিভিশন ও ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ডিভিশন এর কর্মকর্তাগণের সমন্বয়ে গঠিত প্রধান কার্যালয়ের ক্রেডিট কমিটি ১৭ টি নেতিবাচক পর্যবেক্ষণসহ পরিচালনা পর্ষদ বরাবর ১০/০৩/২০২০ ইং তারিখে ঋণ প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। উক্ত ১৭টি নেতিবাচক পর্যবেক্ষণ থাকা স্বত্ত্বেও বিগত ১২/০৩/২০২০ইং. তারিখে অনুষ্ঠিত ইউসিবিএল এর ৪৪৮ তম বোর্ড অব ডিরেক্টস্ সভায় উক্ত ঋণের চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে ১৫/০৩/২০২০ ইং তারিখে উক্ত বাংকের পোর্ট শাখার প্রধান বরাবর ক্রেডিট রিক্স ম্যানেজমেন্ট ডিভিশন থেকে ঋণ অনুমোদনপত্র ইস্যু করা হয়। ঋণের অর্থ ভিশন ট্রেডিং এর নামীয় ঋণ হিসাবে বিতরণ করা হলে বিতরণকৃত ঋণের অর্থের গতিপ্রবাহ গোপন করার উদ্দেশ্যে ২৩/০৩/২০২০ ইং তারিখে ১০ কোটি ও ২৪/০৩/২০২০ ইং. তারিখে ১৫ কোটি টাকা প্রথমে উক্ত ব্যাংক শাখার জেনারেল লেজার হিসাবে স্থানান্তর করা হয়।
ঋণের প্রথম কিস্তির ১০ কোটি টাকা প্রাপ্তির একই দিনে অর্থাৎ ২৩/০৩/২০২০ ইং তারিখে ইউসিবিএল পোর্ট শাখার নাম সর্বস্ব অপর কাগুজে প্রতিষ্ঠান আলফা ট্রেডার্সের ০৪৯২১০১০০০০০৫৮১২ নম্বর হিসাবে ০৭ টি পে অর্ডারের মাধ্যমে ৫,৯০,৪৭,৮৬২/- টাকা ও ইউসিবিএল স্টেশন রোড শাখার গ্রাহক ক্ল্যাসিক ট্রেডিং এর ০৭৭২-১০১০০০০০৮৪১০ নম্বর হিসাবে ০৭টি পে অর্ডারের মাধ্যমে ৪,০৯,৫২,১৩৮/-টাকা স্থানান্তর করা হয়। ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ১৫ কোটি টাকা প্রাপ্তির একই দিনে অর্থাৎ ২৪/০৩/২০২০ ইং তারিখে ইউসিবিএল কারওয়ান বাজার শাখার নাম সর্বস্ব কাগুজে প্রতিষ্ঠান মডেল ট্রেডিং এর ০৪৪১১০১০০০০০০৮৭৯ নম্বর হিসাবে ০৯ টি পে অর্ডারের মাধ্যমে ৮,০০,২৮,০০০/- টাকা ও ইউসিবিএল কামাল বাজার শাখার গ্রাহক নাম সর্বস্ব কাগুজে প্রতিষ্ঠান ইম্পেরিয়াল ট্রেডিং এর ০৬৫২১০১০০০০০৩৫৯৭ নম্বর হিসাবে ০৯ পে অর্ডারের মাধ্যমে ৬,৯৯,৭২,০০০/- টাকা স্থানান্তর করা হয়। বর্ণিত চারটি নাম সর্বস্ব কাগুজে প্রতিষ্ঠান ক্ল্যাসিক ট্রেডিং, মডেল ট্রেডিং, ইম্পেরিয়াল ট্রেডিং এর স্বত্বাধিকারী যথাক্রমে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ মিছাবাহল আলম, মোঃ আব্দুল আজিজ ১ নং আসামী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ও সহযোগী। আলফা ট্রেডার্সে স্বত্বাধিকারী কাজী মোহাম্মদ দিলদার আলম।
নাম সর্বস্ব কাগুজে প্রতিষ্ঠান আলফা ট্রেডার্স ও ক্ল্যাসিক ট্রেডার্সের হিসাব এ ২৩/০৩/২০২০ইং তারিখে (৫,৯০,৪৭,৮৬২+ ৪,০৯,৫২,১৩৮)=১০,০০,০০,০০০/- টাকা স্থানান্তরের পর আলফা ট্রেডার্সের ০৯ টি চেকের মাধ্যমে ৫,৯০,৪৭,৮৬২/- টাকা ও ক্ল্যাসিক ট্রেডার্সের ০৬ টি মাধ্যমে ৪,০৯,৫২,১৩৮/- টাকা ১ নং আসামী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন আরামিট গ্রুপের কর্মচারী মেহাম্মদ হোছাইন চৌধুরী ও মোঃ ইয়াছিনুর রহমানদ্বয় কর্তৃক নগদে উত্তোলন করা হয়।
নাম সর্বস্ব কাগুজে প্রতিষ্ঠান মডেল ট্রেডিং ও ইম্পেরিয়াল ট্রেডিং হিসাবে ২৪/০৩/২০২০ ইং তারিখে (৮,০০,২৮,০০০+ ৬,৯৯,৭২,০০০)=১৫,০০,০০,০০০/- টাকা স্থানান্তরের পর মডেল ট্রেডিং এর ১৪ টি চেকের মাধ্যমে ৭,৪০,০৭,২০০/- টাকা ও ইম্পেরিয়াল ট্রেডিং এর ১৩ টি চেকের মাধ্যমে ৬,৯২,০০,০০০/- টাকা ১ নং আসামী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন আরামিট গ্রুপের কর্মচারী মোঃ ইউসুফ চৌধুরী, মেহাম্মদ হোছাইন চৌধুরী, মোঃ ইয়াছিনুর রহমান ও মোঃ সাইফুল ইসলামগণ কর্তৃক নগদে উত্তোলন করা হয়।
আরামিট গুণের কর্মচারী মেহাম্মদ হোছাইন চৌধুরী কর্তৃক ২৪/০৩/২০২০ ইং তারিখে আলফা ট্রেডার্সের হিসাব থেকে ৩. ৫০ কোটি টাকা, ক্ল্যাসিক ট্রেডার্সের হিসাব থেকে ২.৫০ কোটি টাকা এবং ইম্পেরিয়াল ট্রেডিং এর হিসাব থেকে ৩. ৮৫ কোটি টাকাসহ মোট ৯. ৮৫ কোটি টাকা উত্তোলন করে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি এর বদ্দারহাট শাখা, চট্টগ্রামে ১ নং আসামী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন আরমিট সিমেন্ট পিএলসি এর হিসাব নং- ০৭৯১১০১০০০০০০০-৩৮ (পুরাতন: ০০৭৯১১১০০০১৭১৪৮) এ ১০ টি পে অর্ডারে মাধ্যমে উক্ত ৯.৮৫ কোটি টাকা জমা প্রদান করেন।
আরামিট গ্রুপের কর্মচারী মোঃ ইউসুফ চৌধুরী কর্তৃক ২৪/০৩/২০২০ ইং তারিখে মডেল ট্রেডিং এর হিসাব থেকে ৪.৫৬ কোটি টাকা উত্তোলন করে ০৯ টি জমা ভাউচার এর মাধ্যমে ৪.৫৬ কোটি টাকা এবং মোঃ সাইফুল ইসলাম কর্তৃক ইম্পেরিয়াল ট্রেডিং এর হিসাব থেকে ২৫/০৩/২০২০ ইং তারিখে ৫০.০০ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে ০২ টি জমা ভাউচারের মাধ্যমে ৫০ লক্ষ টাকা ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি এর বদ্দারহাট শাখা, চট্টগ্রামে ১ নং আসামী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন আরমিট থাই অ্যালুমিনিয়াম লিমিটেড এর হিসাব নং- ০৭৯১১০১০০০০০০১১৮ (পুরাতন: ০০৭৯১১১০০০১৭৩০৯) জমা করা হয়। অনুসন্ধানকালে হিসাব খোলার ফরমসহ সংগৃহীত অন্যান্য রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় আরমিট সিমেন্ট পিএলসি এবং আরমিট থাই অ্যালুমিনিয়াম লিমিটেড নামীয় প্রতিষ্ঠান দুটির মালিক সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রী রুকমীলা জামানসহ অন্যানাগণ।
সার্বিক পর্যালোচনায় দেখা যায়, ভিশন ট্রেডিং নামীয় নামসর্বস্ব কাগুজে প্রতিষ্ঠানের হিসাবটি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি এর পোর্ট শাখা, চট্টগ্রামের সিনিয়র অফিসার মোঃ আকরামউল্লাহ এবং শাখা প্রধান ও ভিপি আবদুল হামিদ চৌধুরী কোনরূপ যাচাই বাছাই না করেই খোলেন। পরবর্তীতে গ্রাহক ২৫ কোটি টাকার টাইম লোনের আবেদন করলে উক্ত শাখার ক্রেডিট অফিসার জিয়াউল করিম খান, এফএডিপি ও ক্রেডিট ইনচার্জ মোঃ আব্দুল আওয়াল, এফএডিপি ও ম্যানেজার অপারেশন মীর মেসবাহ উদ্দীন হোসাইন এবং ভিপি ও শাখা প্রধান আব্দুল হামিদ চৌধুরীগণের সমন্বয়ে গঠিত শাখার ক্রেডিট কমিটি মিথ্যা তথ্য উল্লেখপূর্বক কোন প্রকার সহজামানত ছাড়াই ভিশন ট্রেডিংকে ১৮০ দিনের জন্য ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে ২৫ কোটি টাকা ঋণ প্রদানের সুপারিশ করে ঋণের প্রস্তাবনা ইউসিবি পিএলসি এর কর্পোরেট অফিসের কর্পোরেট ব্যাংকিং ডিভিশনে প্রেরণ করেন। ইউসিবি পিএলসি এর কর্পোরেট ব্যাংকিং ডিভিশন ও ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ডিভিশন এর কর্মকর্তাগণের সমন্বয়ে গঠিত প্রধান কার্যালয়ের ক্রেডিট কমিটি ১৭ টি নেতিবাচক পর্যবেক্ষণসহ পরিচলনা পর্ষদ বরাবর ঋণ প্রস্তাব উপস্থাপন করলে ইউসিবিএল এর ৪৪৮ তম পরিচালনা পর্ষদের সভায় উক্ত ঋণের চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করা হয়। অর্থাৎ ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে ভিশন ট্রেডিং নামীয় নামসর্বস্ব কাগুজে প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ২৫ কোটি টাকা ঋণের অনুমোদন প্রদান করা হয়। এভাবে আসামীগণ পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতি, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন আরামিট গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীকে মালিক সাজিয়ে নামসর্বস্ব কাগুজে প্রতিষ্ঠান ভিশন ট্রেডিং এর নামে ভুয়া ও মিথ্যা তথ্য সম্বলিত কাগজপত্র দাখিল করে ঋণ অনুমোদন করিয়ে উক্ত অর্থ বিভিন্ন ভুয়া ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের (সাইফুজ্জামান চৌধুরীর কর্মচারীদের নামে সৃষ্ট আলফা ট্রেডার্স, ক্ল্যাসিক ট্রেডিং, মডেল ট্রেডিং ও ইম্পেরিয়াল ট্রেডিং) ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং করে অপরাধজনক বিশ্বাস ভংঙ্গ করত: ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ২৫,০০,০০,০০০/- (পঁচিশ কোটি) টাকা আত্মসাৎ করে দন্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৪০৬/৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ (২) (৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
এমতাবস্থায়, আসামী (১) সাইফুজ্জামান চৌধুরী (৫৬), সাবেক ভূমিমন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, পিতা-আখতারুজ্জামান চৌধুরী, বর্তমান ঠিকানা: গ্রাম- হাইলধার, পোস্ট- হাইলধর, উপজেলা- আনোয়ারা, জেলা- চট্টগ্রাম; স্থায়ী ঠিকানা: ডলকার্ট হাউজ, ৭ সার্সন রোড, ডাকঘর: দামপাড়া, থানা-কোতয়ালী, জেলা- চট্টগ্রাম; (২) রুকমীলা জামান (৪৬), সাবেক চেয়ারম্যান, ইউসিবি পিএলসি, স্বামী- সাইফুজ্জামান চৌধুরী, পিতা- আবদুল রাজ্জাক, বর্তমান ঠিকানা: গ্রাম- হাইলধার, পোস্ট-হাইলধর, উপজেলা- আনোয়ারা, জেলা- চট্টগ্রাম; স্থায়ী ঠিকানা: ভলকার্ট হাউজ, ৭ সার্সন রোড, ডাকঘর: দামপাড়া, থানা-কোতয়ালী, জেলা- চট্টগ্রাম; (৩) মোহাম্মদ ফরমান উল্লাহ চৌধুরী (৫১), স্বত্বাধিকারী- ডিশন ট্রেডিং ও প্রটোকল অফিসার, আরামিট পিএলসি, পিতা- অলি উল্লাহ চৌধুরী, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা: বশরত আগী মুন্সির বাড়ী, ওয়ার্ড নং-০৩, পোস্ট- মাষ্টার হাট, আমিরাবাদ, উপজেলা- লোহাগড়া, জেলা- চট্টগ্রাম; (৪) মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ (৫১), সাবেক সিনিয়র অফিসার, ইউসিবি পিএলসি, পোর্ট শাখা, চট্টগ্রাম, পিতা- আব্দুল মাজেদ, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা: বাড়ি নং- ২৭, বি ব্লক, রোড নং-০২, পোস্ট-চান্দগাঁও, উপজেলা- চাঁদগাও, জেলা- চট্টগ্রাম: (৫) আবদুল হামিদ চৌধুরী (৫০), সাবেক শাখা প্রধান ও ডিপি, ইউসিবি পিএলসি, পোর্ট শাখা, চট্টগ্রাম, পিতা- আবদুর রউফ চৌধুরী, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা: অধ্যাপক আব্দুর রউফ চৌধুরীর বাড়ি, মির্জাখীল, চৌং পাড়া, সোনাকানিয়া, ১ নং ওয়ার্ড, পোস্ট মির্জাঘীল, উপজেলা, সাতকানিয়া, জেলা- চট্টগ্রাম; (৬) জিয়াউল করিম খান (৪৬), সাবেক ক্রেডিট অফিসার, ইউসিবি পিএলসি, পোর্ট শাখা, চট্টগ্রাম, পিতা- ফজলুল করিম খান, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা: আল করিম ম্যানশন, হাটহাজারি রোড, পোস্ট আমিন জুট মিল, উপজেলা- পাঁচলাইশ, জেলা- চট্টগ্রাম; (৭) মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল (৫৮), সাবেক এফএডিপি ও ক্রেডিট ইনচার্জ, ইউসিবি নিএলসি, পোর্ট শাখা, চট্টগ্রাম, পিতা- জহুরুল আনোয়ার, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা: পেস্কার বাড়ি, ওয়ার্ড নং-০১, পোস্ট- খান মোহনা, উপজেলা- পটিয়া, জেলা- চট্টগ্রাম; (৮) মীর মেসবাহ উদ্দীন হোসাইন (৬২), সাবেক এফএভিপি ও ম্যানেজার অপারেশন, ইউসিবি পিএলসি, পোর্ট শাখা, চট্টগ্রাম, পিতা- এম এইচ হায়দার, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা: পেশকার বাড়ি, উত্তর ঘোড়ামরা, ১ নং ওয়ার্ড, পোস্ট- কুমিরা, উপজেলা, সীতাকুন্ড, জেলা- চট্টগ্রাম; (৯) কাজী মোহাম্মদ দিলদার আলম (৬৬), স্বত্বধিকারী- আলফা ট্রেডিং, পিতা- মোহাম্মদ সৈয়দ হোসেন, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা: মোয়াজ্জেম বাড়ি, গ্রাম- বাহলী, পোস্ট- পটিয়া, উপজেলা- পটিয়া, জেলা, চট্টগ্রাম; (১০) মোহাম্মদ মিছাবাহল আলম (৫০), স্বত্বধিকারী- মডেল ট্রেডিং ও এও, আরামিট পিএলসি, পিতা- ফরিদুল আলম, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা: মিয়া বাড়ী, দক্ষিণ বরুমচড়া, পোস্ট, মোনায়েম শাহ, উপজেলা- বাঁশখালী, জেলা- চট্টগ্রাম; (১১) মোঃ আব্দুল আজিজ (৩৯), স্বতাধিকারী-ইম্পেরিয়াল ট্রেডিং ও এজিএম, আরামিট পিএলসি, পিতা- মো: আব্দুস সবুর, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা: কামাল মাস্টার বাড়ী, ওয়ার্ড নং- ০৪, পোস্ট- চান্দগাঁও, উপজেলা-চাঁদগাও, জেলা- চট্টগ্রাম: (১২) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (৫৪), স্বত্বধিকারী-ক্লাসিক ট্রেডিং ও এজিএম, আরামিট পিএলসি, পিতা- মফজল আহমদ, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা: মফজল মাস্টারের বাড়ি, খাসখামা, পোস্ট- মালঘর, উপজেলা, আনোয়ারা, জেলা- চট্টগ্রাম; (১৩) মেহাম্মদ হোছাইন চৌধুরী (৪৮), পিতা- রমিজ আহমেদ চৌধুরী, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা: এড: রশিদ আহমদ চৌধুরীর বাড়ী, ৩ নং ওয়ার্ড, বরকল, কানাইমাদারী, পোস্ট- পাঠানদন্ডী, উপজেলা- চন্দনাইশ, জেলা- চট্টগ্রাম; (১৪) মো: ইয়াছিনুর রহমান (৪৩), পিতা- হাবিবুর রহমান, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা: আলতাফ সওদাগরের বাড়ী, কৈখাইন, ৩ নং ওয়ার্ড, পোস্ট- পরৈকোড়া, উপজেলা- আনোয়ারা, জেলা- চট্টগ্রাম; (১৫) মোঃ ইউছুফ চৌধুরী (৪৫), পিতা- মো: আজম চৌধুরী, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা: মুল্লক শাহ চৌধুরী বাড়ী, উত্তর রাংগামাটিয়া, ২ নং ওয়ার্ড, পোস্ট- ফটিকছড়ি, উপজেলা- ফটিকছড়ি, জেলা- চট্টগ্রাম; (১৬) মোঃ সাইফুল ইসলাম (৪৫), পিতা- আব্দুল মালেক, বর্তমান ঠিকানা: ওয়ার্ড নং-৩২, ১৪ নংশাহ আমানত লাইন, পোস্ট, জিপিও, কোতায়ালী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম, স্থায়ী ঠিকানা: পালপাড়া, ৫ নং ওয়ার্ড, পোস্ট, ইসলামপুর, লক্ষ্মীপুর সদর, লক্ষীপুর; (১৭) বজল আহমেদ বাবুল (৫৬), সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, ইউসিবি পিএলসি, পিতা- এম এ বারী, বর্তমান ঠিকানা: ৩০ নং বাসা, ২২, সিডিএ আ/এ, ডাকঘর- বন্দর-৪১০০, ডবলমুরিং, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম: (১৮) এম এ সবুর (৭৭), সাবেক চেয়ারম্যান আরএমসি, ইউসিবি পিএলসি, পিতা- রহম আলী, বর্তমান ঠিকানা: ওয়ার্ড নং- ০৩ (কাঞ্চন পৌরসভা), কেন্দুয়া, পোস্ট- কাঞ্চন, উপজেলা- রূপগঞ্জ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ; (১৯) ইউনুছ আহমদ (৭৯), সাবেক পরিচালক, ইউসিবি পিএলসি, পিতা- গুরা মিয়া সওদাগর, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা: বাড়ি- ৩৪, ফ্ল্যাট নং- ২০৪, রাস্তা নং- ১০৪, ওয়ার্ড নং-১৯, গুলশান- ২, গুলশান- ১২১২, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা: (২০) হাজী আবু কালাম (৭৯), সাবেক পরিচালক, ইউসিবি পিএলসি, পিতা- মাষ্টার মোহাম্মদ হাশেম, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা- ২ নং রাবেয়া রহমান লেইন, ওয়ার্ড নং-২১, পোস্ট সদর, কোতায়ালী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম; (২১) নুরুল ইসলাম চৌধুরী (৬২), সাবেক পরিচালক, ইউসিবি পিএলসি, পিতা- সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বর্তমান ঠিকানা: গ্রাম। রাস্তা-১২. হোল্ডিং। বাসা- ২৩, ডাকঘর- বনানী-১২১২, গুলশান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা; (২২) আসিফুজ্জামান চৌধুরী (৪৬), সাবেক পরিচালক, ইউসিবি পিএলসি, পিতা- আখতারুজ্জামান চৌধুরী, বর্তমানা ও স্থায়ী ঠিকানা: হোল্ডিং। গ্রাম- হাইলধার, ওয়ার্ড নং-০৭, পোস্ট- হাইলধর, উপজেলা- আনোয়ারা, জেলা- চট্টগ্রাম: (২৩) রোকসানা জামান চৌধুরী (৫৬), সাবেক পরিচালক, ইউসিবি পিএলসি, পিতা- আখতারুজ্জামান চৌধুরী, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা: হোল্ডিং/ বাসা- ৬৬, ব্লক- বি, গ্রাম/রাস্তা- ১৮, ওয়ার্ড
নং-১৯, ডাকঘর-বনানী-১২১৩, গুলশান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা; (২৪) বশির আহমেদ (৫৫), সাবেক পরিচালক, ইউসিবি পিএলসি, পিতা-এম এ বারী, বর্তমান ঠিকানা- ৭৪/এ/৮০, গ্রাম/ রাস্তা- ২ নং আব্দুল মালেক সড়ক, দক্ষিণ খুলশী, ডাকঘর- পাহাড়তলি-৪২০২, খুলশী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম: (২৫) আফরোজা জামান (৪৮), সাবেক পরিচালক, ইউসিবি পিএলসি, স্বামী- তৌফিক হুমায়ূন চৌধুরী, পিতা- আখতারুজ্জামান চৌধুরী, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা- বাড়ি নং- ৭৪. ফ্ল্যাট নং- ০৫, ইকুইটি এভেনচুরা, রাস্তা-০৬, ও আর নিজাম আবাসিক এলাকা, পূর্ব নাসিরাবাদ, জিপিও- ৪০০০, পাঁচলাইশ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম: (২৬) সৈয়দ কামরুজ্জামান (৬১), সাবেক পরিচালক, ইউসিবি পিএলসি, পিতা- সৈয়দ মোহম্মদ এজহারুল হক, বর্তমান ঠিকানা: ১১৮, গ্রীণ টাওয়ার, ২, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা, চকবাজার-৪২০৩, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম; (২৭) মোঃ শাহ আলম (৬২), সাবেক পরিচালক, ইউসিবি পিএলসি, পিতা- আব্দুল মালেক, বর্তমান ঠিকানা: সানমার ভ্যালেন্সীয়া ফ্ল্যাট (০৩ ডি), ৩৬ নং সার্সন রোড, বাগমনিরাম, ডাকঘর- দামপাড়া/৪০০০, কোতয়ালী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম; (২৮) মো: জোনাইদ শফিক (৬৪), সাবেক পরিচালক, ইউসিবি পিএলসি, পিতা- সফিকুর রহমান, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা- বাসা- ২৬, ফ্ল্যাট- ১ সি, রাস্তা- ২০, উত্তরা মডেল টাউন, সেক্টর- ৩, উত্তরা-১২৩০, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা; (২৯) অপরূপ চৌধুরী (৬৫), সাবেক পরিচালক, ইউসিবি পিএলসি, পিতা: অজিত কুমার চৌধুরী, বর্তমান ঠিকানা- ৩৫. হোসেন ড্রীম ভবন (৫ম তলা), পশ্চিম তেজতুরী বাজার, ডাকঘর- তেজগাঁও/১২১৫, তেজগাঁও, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা; (৩০) তৌহিদ সিপার রফিকুজ্জামান (৬৬), সাবেক পরিচালক, ইউসিবি পিএলসি, পিতা: ই এম এ জামান, বর্তমান ঠিকানা: ৬ নং নিউ ডিওএইচ, মহাখালী, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট-১২০৬, ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা, স্থায়ী ঠিকানা: ১০৬, পার্ক রোড (৫ম তলা), ৬ নংনিউ ডিওএইচএস, মহাখালী, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা; (৩১) আরিফ কাদরী (৬৪), সাবেক ডারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইউসিবি পিএলসি, পিতা- কবির উদ্দিন আহমেদ, বর্তমান ঠিকানা: বাসা/হোল্ডিংনং- ৯৮, ফ্ল্যাট নং-এবি-০৪, রেইনবোরাইমস, সড়ক নং-১৩/সি, ব্লকনং-ই, ওয়ার্ড নং-১৯, বনানী, ঢাকা, স্থায়ী ঠিকানা: ৫৬, বনদেল রোড, পাহাড়গাটা, কোতয়ালী, জেলা: চট্টগ্রাম গণ পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতি, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন আরামিট গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীকে মালিক সাজিয়ে নামসর্বস্ব কাগুজে প্রতিষ্ঠান ডিশন ট্রেডিং এর নামে ভুয়া ও মিথ্যা তথ্য সম্বলিত কাগজপত্র দাখিল করে ঋণ অনুমোদন করিয়ে উক্ত অর্থ বিভিন্ন ভুয়া ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের (সাইফুজ্জামান চৌধুরীর কর্মচারীদের নামে সৃষ্ট আলফা ট্রেডার্স, ক্ল্যাসিক ট্রেডিং, মডেল ট্রেডিং ও ইম্পেরিয়াল ট্রেডিং) ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং করে অপরাধজনক বিশ্বাস ডংঙ্গ করত: ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ২৫,০০,০০,০০০/- (পঁচিশ কোটি) টাকা আত্মসাৎ করে দন্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৪০৬/৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ (২) (৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তদন্তকালে অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদেরকেও আইন আমলে নেয়া হবে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করাহয় ।