করোনাভাইরাসে দেশে একদিনে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ ২৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটিই এখন পর্যন্ত একদিনে মৃত্যুর হিসাবে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯ হাজার ৫২১ জনে।
২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৪৭ জনের মধ্যে পুরুষ ১৪১ ও নারী ১০৬ জন। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৬৫ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৫৫ জন, বাড়িতে ২৬ জন এবং হাসপাতালে আনার পথে একজন মারা যান।
একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ১৫ হাজার ১৯২ জন, যা একদিনে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৮২৭ জনে।
সোমবার (২৬ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত ১৯ জুলাই ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ ২৩১ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। তার আগে ১১ জুলাই ২৩০ জনের মৃত্যু হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি ও বেসরকারি ৬৩৯টি ল্যাবে ৫৩ হাজার ৩১৬টি নমুনা সংগ্রহ ও ৫০ হাজার ৯৫২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৭৫ লাখ ছয় হাজার ২৩৩টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৫ দশমিক শূন্য ৭২ শতাংশ।
এদিকে একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৫২ জন। এ নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১০ লাখ নয় হাজার ৯৭৫ জনে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৬০ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২৪৭ জনের মধ্যে বয়সের হিসাবে দশোর্ধ্ব দুজন, বিশোর্ধ্ব তিনজন, ত্রিশোর্ধ্ব ১৬ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ৩০ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৫৯ জন, ষাটোর্ধ্ব ৭৩ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৪৫ জন, আশি বছরের বেশি বয়সী ১৭ জন, নব্বইয়ের বেশি বয়সী দুজন রয়েছেন।
বিভাগওয়ারী হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ৭২ জন, চট্টগ্রামে ৬১ জন, রাজশাহীতে ২১ জন, খুলনায় ৪৬ জন, বরিশালে ১২ জন, সিলেটে ১৪ জন, রংপুরে ১৬ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে পাঁচজন।