নগরীর ইপিজেডে বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে ‘বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক’ সন্দেহ থেকে সৃষ্ট শত্রুতার জেরে মোহাম্মদ আইয়ূব নবী (৩০) নামে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে তারাই বন্ধু মো. সিজান (২৫)। ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে নগরীর ইপিজেড থানার আকমল আলী রোডে সিডিএ বালুর মাঠ এলাকায়। এ ঘটনায় সিজানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া উদ্ধার করা হয়েছে হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি ছুরি। খুনের পরিকল্পনাকারী সাইমন নামে একজন এখনো পলাতক আছে বলে পুলি জানিয়েছে।
নিহত মোহাম্মদ আইয়ূব নবী (৩০) চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন। নগরীতে আকমল আলী রোডে ভাড়া বাসায় থাকতেন। অন্যদিকে গ্রেপ্তার সিজান ইপিজেড থানার সিমেন্ট ক্রসিং এলাকার রানী ভবনের গলির টেন্ডলের বাড়ির মৃত আলমগীরের ছেলে। তিনি হোটেলে কারিগর হিসেবে কাজ করলেও সম্প্রতি বেকার ছিলেন।
আইয়ূব নবীর বড় ভাই আহম্মদ নবী জানিয়েছেন, আইয়ূব নবী রেস্তোঁরায় ‘গ্রিল কারিগর’ হিসেবে বাবুর্চির কাজ করতেন। তার দুই স্ত্রী। উভয় সংসারে একটি করে দুটি ছেলে সন্তান আছে। আইয়ূবের সঙ্গে বিভিন্ন রেস্তোঁরায় বাবুর্চির কাজ করতেন সাইমন নামে এক যুবক। আকমল আলী রোডে তারা পাশাপাশি বাসায় থাকতেন। তারা দুজন ভালো বন্ধু ছিলেন।
আহম্মদ নবী বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) বিকেল পাঁচটার দিকে আমার ভাই আইয়ূব নবী আমাকে মোবাইলে কল করে জানায়, সাইমন তার স্ত্রীর সঙ্গে আইয়ূবের পরকীয়া আছে বলে সন্দেহ করছে। এজন্য তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে।’
‘এরপর সন্ধ্যা সাতটার দিকে আমি খবর পাই, আমার ভাইকে আকমল আলী রোডে বালুর মাঠে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমার ভাই বলেছে, সাইমন যেটা বলেছে সেটা সম্পূর্ণ অপবাদ। তারা দুজন আপন ভাইয়ের মতো ছিল। সাইমন কীভাবে আমার ভাইকে হত্যা করতে পারল, আমি বুঝতে পারছি না।’
নগরীর ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান বলেন, ‘মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর আমরা খবর পাই, আকমল আলী রোডে সিডিএ বালুর মাঠে কে বা কাদের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে আহত এক যুবক পড়ে ছিল। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আমরা হাসপাতালে গিয়ে মরদেহ হেফাজতে নিই। কিন্তু তখন তাকে কেউ চিনতে পারেনি। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোজাহের মিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় গ্রেপ্তার সিজানসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।