জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প মে মাসের মধ্যে উন্নতি হবে : উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। আগে প্রকল্পে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সেগুলো দুর্নীতি দমন কমিশন দেখবে। আমাদের কাজ হচ্ছে জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশন, সিডিএসহ অন্যান্য সংস্থাকে সহযোগিতা করা। আশা করছি, মে মাসের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। তবে জলাবদ্ধতা হয়তো পুরোপুরি শেষ হবে না, কিন্তু উল্লেখযোগ্য উন্নতি হবে।’

গতকাল শনিবার নগরীর দক্ষিণ আগ্রাবাদে আবিদারপাড়া এলাকায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মহেশখাল খনন কর্মসূচি উদ্বোধন করে উপদেষ্টা একথা বলেন।

জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজে চসিক, সিডিএ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ওয়াসাসহ সংশ্লিষ্ট সব সরকারি সংস্থার সমন্বয়ের ওপর আবারও জোর দেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

তিনি বলেন, ‘শুধু খাল খনন করলেই হবে না। খালের পানি যাতে দূষিত না হয়, সে বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। জনসম্পৃক্ততা তৈরি করতে হবে।’

মহেশ খালসহ চট্টগ্রামের খাল খনন প্রকল্পের জন্য অতিরিক্ত অর্থায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের পরেও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যায়নি। তাই প্রথমে দৃশ্যমান উন্নতি নিশ্চিত করতে হবে। সফলতা প্রমাণ হলে প্রয়োজনীয় অর্থায়নে কোনো সমস্যা হবে না।’

গরমে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘গরমের মাত্রা ও বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে লোডশেডিংয়ের পরিস্থিতি নির্ধারিত হবে। সরকার এলএনজি আমদানি বৃদ্ধি, ট্রান্সফরমার মেরামত এবং বিদ্যুৎ সরবরাহের উন্নয়নে কাজ করছে। বিদ্যুৎ বিতরণের ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা হবে। বিদ্যুতের অপব্যবহার রোধ করতে হবে। অবৈধ সংযোগ বন্ধ করতে হবে। এসি (এয়ার কন্ডিশন) ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার ওপরে রাখা উচিত, যা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সহায়ক হবে।’

অনুষ্ঠানে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘যেখানে নালা আছে, সেখানে যদি কেউ বিল্ডিং নির্মাণ করে থাকে, তা অপসারণ করতে হবে। আমরা জনগণের স্বার্থে কাজ করছি এবং করব। চট্টগ্রামের খাল পুনরুদ্ধার ও সংস্কারের কার্যক্রম চলছে। ১৬০০ কিলোমিটার নালা পরিষ্কার করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং এটি চলমান থাকবে। আশা করছি, সামনের বছর অর্থাৎ মার্চ থেকে জুনের মধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ সম্পূর্ণ শেষ হবে। এ বছর যাতে জলাবদ্ধতা কমে আসে, সেজন্য খাল ও নালা পরিষ্কার করার কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।’

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন, সিডিএ’র চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, সিডিএ’র জলাবদ্ধতা নিরসন সংক্রান্ত প্রকল্পের ভৌতি কাজের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস আহমেদ।