পতেঙ্গায় পুলিশের এসআইয়ের উপর হামলায় আরো ১০ জন গ্রেপ্তার

চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গার আউটার রিং রোডে সমুদ্র সৈকত এলাকায় পুলিশের এসআইয়ের উপর হামলার ঘটনায় আরো ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।

গতকাল শনিবার রাতে পাঁচলাইশ থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।  গ্রেপ্তাকৃতরা হলেন, গনপতি (৫৭), হামিদুর রহমান (৩০), রোহান (২০), আরিফ প্রমাণিক (৩৫), রাব্বি (৩৫), শুভ (১৯), জীবন (২৬), রুমেল (৩০), রেজাউল করিম (৪৫) ও সিয়াম শেখ (১৮)।

পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃত সবাই ওইদিনের ঘটনার সাথে জড়িত। এরা মাদক সেবন ও ছিনতাইয়ে জড়িত। তারা পতেঙ্গা থানার এসআই ইউসুফ আলীকে দলবদ্ধ হয়ে পরিকল্পিতভাবে মারধর ও হেনস্থা করেছিল। সর্বশেষ গ্রেপ্তার ১০ জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে নগরীর পতেঙ্গা থানার আউটার রিং রোডে সমুদ্র সৈকত এলাকায় এ ‘মব ভায়োলেন্সের’ ঘটনা ঘটে। এসময় স্থানীয় জনতা দুই জনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তারা হলেন- সাইমন (২৭) ও আলী ইমাদ (২২)। নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মাহমুদা বেগম সোনিয়ার ভাষ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাতে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে বসে কয়েকজন যুবক মাদক সেবন করছে বলে তথ্য পৌঁছে জরুরি সেবা নম্বর ট্রিপল নাইনে। তখন সেখানে আউটার রিং রোডে চেকপোস্টে ডিউটি করছিলেন এসআই ইউসুফ। ট্রিপল নাইনের তথ্যে তিনি এগিয়ে গেলে দুই যুবক প্রথমে তাকে ভুয়া পুলিশ বলে চেঁচামেচি শুরু করে।

এরপর তারা নিজেদের আরও লোকজন সেখানে নিয়ে আসেন৷ তারা এসআই ইউসুফকে ঘিরে মব ভায়োলেন্সের ঘটনা ঘটায়। তারা ইউসুফের কাছ থেকে ওয়াকিটকি, মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। ইউনিফর্ম পরা একজন পুলিশ সদস্য হেনস্থার শিকার হচ্ছেন দেখে সমুদ্র সৈকত এলাকার লোকজন সেখানে যান। তারা হেনস্থাকারীদের দুই জনকে ধরে পিটুনি দেন। পুলিশ তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ওয়াকিটকি, মোবাইল ও মানিব্যাগ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।