নগরের বৃহত্তম পাইকারি ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জে ভোজ্য তেলের কৃত্রিম সংকট কৃত্রিম সংকট তৈরির হাতেনাতে প্রমাণ পেয়ে দুই পরিবেশক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানাও করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে, পুষ্টি তেলের এক ডিলার সাতকানিয়া ষ্টোর ও মেসার্স আল আমিন স্টোর। তবে পরিবেশকদের দাবি, দোকানে যেসব তেলের বোতল অধিদপ্তর পেয়েছে সেগুলো আগেই বিক্রি হয়ে গিয়েছে। বিক্রিত পণ্য স্টকে দেখান না তারা। তবুও তাদেরকে জরিমানা করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চালানো এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক ফয়েজ উল্লাহ।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য ছিল, বোতলজাত তেল বাজারে পাওয়া যাচ্ছিল না। কোম্পানিগুলো তেল সরবরাহ করছে ডিলারের কাছে। কিন্তু ডিলাররা যথাযথভাবে দোকানগুলোতে তেল সরবরাহ করছে না। থাকার পরেও তারা বলছে তেল নেই। আমরা দুটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘প্রথমে মেসার্স আল আমিন স্টোর নামে একটি প্রতিষ্ঠানে আমরা আমাদের একজনকে তেল আছে কিনা খোঁজ নিতে পাঠাই। তারা তখন বলেছে তেল নেই। পরে ওই প্রতিষ্ঠানে আমরা গিয়ে তেল পেয়েছি। তাদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
কারচুপির প্রমাণ পেয়েছেন জানিয়ে ফয়েজ উল্ল্যাহ বলেন, ‘সাতকানিয়া ষ্টোর নামে পুষ্টি তেলের এক ডিলারের কাছে গিয়ে আমরা জিজ্ঞেসে করেছি তেল আছে কিনা। তারা আমাদের জানায় যে, তাদের কাছে কাছে তেল নেই। কোম্পানির কাছ থেকে জানতে পেরেছি, ১৩শ’ কার্টুন, যা প্রায় ২৪ হাজার লিটার তেল উনাদের সরবরাহ করেছে। পরে তিনি স্বীকার করেন তাকে ৬শ’ কার্টুন তেল সরবরাহ করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনি ৪০ কার্টুন তেল সরবরাহের হিসেব আমাদের দিতে পেরেছেন। বাকিগুলোর হিসেব দিতে পারেননি। তার মানে তিনি এখানে কারচুপি করেছেন। তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
সাতকানিয়া ষ্টোরের মালিক মো. আবছার বলেন, ‘আমি তো তেল বেশি দামে বিক্রি করিনি। উনারা কাগজপত্রে অনিয়ম পেয়েছে। তাই জরিমানা করেছে। কোম্পানির কাছে চাওয়া ১৩শ’ কার্টন তেল থেকে আমি পেয়েছি ৬শ’ কার্টন। বাকিগুলো আসবে আরও পরে। যেগুলো পেয়েছি সেগুলো বাজারে সরবরাহ করে দিয়েছি। কিন্তু ডকুমেন্ট পাইনি এখনও। এখানে কোনো অনিয়ম আমি করিনি। স্যাররা তো ডকুমেন্ট আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারবেন না।’
আল আমিন স্টোরের মালিক মো. শাহজালাল বলেন, চার-পাঁচদিন হচ্ছে কোম্পানি মাল দিচ্ছে না। তাই আমার বিক্রিও বন্ধ। ওরা বলছে ওদের পাইপলাইনে এখন তেল আসছে। সেগুলো প্রসেসিং হবে, সময় লাগবে।