বন্দরের প্রাইম মুভার শ্রমিকদের কর্মবিরতি, ব্যাহত হচ্ছে পণ্য খালাস

সীতাকুণ্ডের ডিসি পার্কের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘাতের জেরে কর্মবিরতি পালন করছে বন্দরের প্রাইম মুভার শ্রমিকেরা। চার দফা দাবিতে আজ বুধবার সকাল থেকে প্রাইম মুভার শ্রমিকরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এর ফলে চট্টগ্রামে বন্দরে পণ্য আনা-নেওয়ার জন্য গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে ফৌজদারহাট ডিসি পার্কের সামনে লরি দাঁড় করানোকেকেন্দ্র করে পার্কেও নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে চালক ও সহকারীদের মধ্যে মারামারির জেরে স্থানীয় জনতা ও লরি চালকরা পার্কে হামলা চালায়। পরে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

প্রাইম মুভার শ্রমিকদের মারধরের ঘটনায় মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে নগরীর কাস্টমস ও সল্টগোলা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেয় শত শত ট্রাক, প্রাইম মুভার ও লরি চালক। ফলে রাস্তার দুপাশেই বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল। গভীর রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন নেতাকর্মী গিয়ে অবরোধকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর ভোর ৪টার দিকে অবরোধকারীরা সড়ক ছেড়ে গেলে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। কিন্তু বুধবার সকাল গড়াতেই তারা আবার চার দফা কর্মসূচি দিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন শ্রমিকরা।

শ্রমিকদের দাবি, মঙ্গলবার রাতে সীতাকু-ের ডিসি পার্কে বিএম ডিপোর এক প্রাইম মুভার চালক ও সহকারীদের যারা মারধর করেছে তাদেও বিচার করতে হবে। না হয় তারা কর্মবিরতি কর্মসূচি প্রত্যাহার করবেন না এবং চট্টগ্রাম বন্দরে কোনো গাড়ি ঢুকতে দেবেন না।

চট্টগ্রাম জেলা প্রাইম মুভার ও ট্রেইলার ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের বলেন, ‘ডিসি পার্ক বন্ধ হবে নইলে বন্দর বন্ধ থাকবে। আমাদের শ্রমিকদের যারা মারধর করেছে তাদের বিচার করতে হবে। গতকাল (মঙ্গলবার) থেকে এখন পর্যৗল্প প্রশাসনের কেউ আমাদের সাথে বসেনি। সীতাকু- থানার ওসি বসলেও সমাধান দিতে পারেননি। তাই আমাদের শ্রমিকরা গাড়ি বন্ধ রেখে কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছে।’

চার দফা দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শ্রমিকদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে, আহতদের চিকিৎসা ও যথাযথ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে, ডিসি পার্কে প্রবেশের বিকল্প পথ ব্যবস্থা করতে হবে এবং সড়কে শ্রমিকদের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান করতে হবে।
এদিকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক জানান, প্রাইম মুভার শ্রমিকরা পণ্য পরিবহন বন্ধ রেখেছে। পণ্য পরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়লে কনটেইনার জটের শঙ্কা তৈরি হবে। এ ছাড়া আমদানি ও রপ্তানিকারকরা ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।