বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ২ নেতাকে অবরুদ্ধ করে হামলা

চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মূখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদকে অবরুদ্ধ করে হামলার অভিযোগ উঠেছে। আজ ১১ জানুয়ারি (শনিবার) সন্ধ্যায় ওয়াসা মোড়ে একটি অফিসে এ হামলা ঘটে।

জানা গেছে, সেখানে অবস্থানরত এই দুই নেতা ও তাদের সংগঠকদের ওপর ‘ডট গ্যাং’ নামে পরিচিত ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত একটি গ্রুপ হামলা চালায়। ওয়াসা মোড়ে ওই অফিসে অবস্থানকালে ‘ডট গ্যাং’ সদস্যরা ওই অফিসটি অবরুদ্ধ করে রাখে এবং এক পর্যায়ে হামলা চালায়। হামলার ব্যাপারে কথা বলেন রাসেল আহমেদ। তিনি জানান, “আজ চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত ডট গ্যাং আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ রাত ৯টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে নেতারা এই হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিস্তারিত পরিস্থিতি তুলে ধরবেন বলে জানা গেছে।

এর আগে শনিবার  বিকেলে নগরীর ষোলশহরে ‘প্রোক্লেমেশন অব জুলাই রেভ্যুলেশন’র দাবিতে লিফলেট বিতরণ ও পথসভা কর্মসূচির সময় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রকাশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে বলে সাংবাদিকদের কাছে  অভিযোগ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ।

তিনি বলেন, ‘আমরা মানুষের কাছ থেকে মেসেজ নিতে এসেছি উনারা আগামীর বাংলাদেশ কেমন দেখতে চাচ্ছেন? আগামীর বাংলাদেশ নিয়ে উনাদের স্বপ্ন কি, সেটা জানতে এসেছি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে উনারা জীবন বাজি রেখে লড়াইটা করেছেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের রক্তের বিনিময়ে আমরা যে বাংলাদেশ পেয়েছি, সেই বাংলাদেশে উনারা কী ধরনের পরিবর্তন দেখতে চাচ্ছেন, সেটা আমরা জানতে এসেছি। উনাদের চাওয়াটা যাতে আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রে অন্তর্ভুক্ত করতে পারি, সেজন্য আমরা উনাদের কাছ থেকে বিভিন্ন মেসেজ নিয়ে যাচ্ছি। যে মানুষগুলো আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে লড়াই করেছেন, তাদের আগামীতেও আমরা পাশে চাচ্ছি যাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্বীকৃতিতে কেউ বাধা হয়ে না দাঁড়ায়।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রকাশে আমাদের পক্ষ থেকে সরকারকে একটা আলটেমেটাম দেয়া হয়েছে। আমরা আশা করি, ১৫ জানুয়ারির মধ্যেই সরকার এটা ঘোষণা করবে। কিন্তু এ ঘোষণাপত্র যাতে না হয়, সেজন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’

‘তবে এ স্বীকৃতি পেলে এদেশের মানুষের কাছ থেকে আর কেউ কখনো তাদের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে পারবে না, আগামীর বাংলাদেশে কেউ মানুষর মানবাধিকার কেড়ে নিতে পারবে না, আগামী বাংলাদেশে কেউ ভাতের অধিকার কেড়ে নিতে পারবে না। যারা এদেশের মানুষকে দাবিয়ে রাখতে চায়, এদেশের মানুষকে নিপীড়ন করতে চায়, শোষণ করতে চায় তারাই কেবল জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র চায় না।’