ভারত থেকে মুক্তি পেয়ে চট্টগ্রামে ফিরেছে ৯০ নাবিক-জেলে। পাশাপাশি বাংলাদেশের ‘এফভি লায়লা-২’ এবং ‘এফভি মেঘনা-৫’ নামের দুটি ফিশিং বোটও ফিরে আসে। আজ মঙ্গলবার সকালে পতেঙ্গার কর্ণফুলি চ্যানেলে নাবিক-জেলেসহ ওই দুটি ভেসেল এসে পৌঁছে।
গত বছরের ৯ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে বঙ্গোপসাগরে খুলনায় হিরণ পয়েন্ট এলাকা থেকে ট্রলার দুটি ভারতীয় কোস্টগার্ড সদস্যরা আটক করে নিয়ে যান। অভিযোগ ছিল, তারা বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় সীমানায় প্রবেশ করেছিলেন। ট্রলারগুলো হলো, এফভি লায়লা–২ ও এফবি মেঘনা–৫। এর মধ্যে এফভি লায়লা–২ এস আর ফিশিং নামে একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন। এফভি মেঘনা–৫ চট্টগ্রামভিত্তিক সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেডের মালিকানাধীন।
এদিকে মুক্ত হওয়া ৯০ নাবিকের মধ্যে বাকি ১২ জন এফবি কৌশিক নামে একটি মাছ ধরা ট্রলারের জেলে। গত ১২ সেপ্টেম্বর বঙ্গোপসাগরে আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমার কাছে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে নৌ যানটি ডুবে গিয়েছিল। সেখানে থাকা ১২ বাংলাদেশি জেলেকে ভারতীয় ট্রলার উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছিল। তাদের ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কাকদ্বীপে ভারতীয় কোস্টগার্ডের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছিল।
গত রোববার (৫ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে বঙ্গোপসাগরে খুলনায় হিরণ পয়েন্ট এলাকায় আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমানায় ৯০ নাবিককে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করেন ভারতীয় কোস্টগার্ড। এর আগে বাংলাদেশে আটক থাকা ৯৫ ভারতীয় জেলে ও ছয়টি ফিশিং বোট ভারতের কোস্টগার্ড কাছে হস্তান্তর করেছিলেন বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।
সংশ্লিষ্টদের তথ্যানুযায়ী, এফভি-মেঘনা ট্রলারটি গত বছরের ২৪ নভেম্বর চট্টগ্রাম থেকে মাছ আহরণের জন্য খুলনা গিয়েছিল। ট্রলারটি ১৪ ডিসেম্বর ফিরে আসার কথা ছিল। ওই ট্রলারে ৩৭ জন নাবিক ছিলেন। অন্যদিকে ৪১ জন নাবিক নিয়ে এফভি লায়লা-২ ট্রলারটি চট্টগ্রাম থেকে রওনা করেছিল গত ২৭ নভেম্বর। ট্রলারটি ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ফিরে আসার কথা ছিল। ভারতীয় কোস্টগার্ড তাদের আটকের পর দেশে ট্রলারগুলোর মালিক কর্তৃপক্ষ এবং নাবিকদের স্বজনদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে ১০ ডিসেম্বর রাতে ভারতীয় কোস্টগার্ডের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে তিনটি ছবি প্রকাশ করে বলা হয়, ভারতীয় সমুদ্রসীমায় মৎস্য আহরণের অভিযোগে এক অভিযানে ট্রলার দু’টিসহ ৭৮ নাবিককে আটক করা হয়েছে। নাবিকসহ ট্রলার দুটি প্যারাদ্বীপের কাছে নেওয়া হয়েছে।