চট্টগ্রামের আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশের ওপর হামলা ও কাজে বাধা দানের মামলায় ইসকনের বহিষ্কৃত সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের ১২ অনুসারীর ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আসামিরা হলেন, আমান দাস, রুমিত দাস, নয়ন দাস, গগন দাস, সুমিত দাস, বিশাল দাস, সনু দাস মেথর, সুমন দাস, রাজেশ দাস, দুর্লভ দাস, জয় নাথ ও অজয় সূত্রধর চৌধুরী।
আজ বুধবার সকালে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সরকার হাসান শাহরিয়ারের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে, সোমবার (২ ডিসেম্বর) পুলিশের ওপর হামলার আরেক মামলায় আট আসামির সাতদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজুর রহমান জানান, পুলিশের কাজে বাধা দান ও হামলার মামলায় ১২ আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শুনানি শেষে পরে তাদের আবার কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশব্যাপী সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আট দফা দাবিতে সনাতনী সম্প্রদায়ের মুখপাত্র চট্টগ্রামের ইসকন পরিচালিত মন্দির পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী নানা কর্মসূচি দিয়ে আসছিলেন। গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের লালদিঘী মাঠে জনসভার পর ৩০ অক্টোবর চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়, সেখানে চিন্ময় দাসকেও আসামি করা হয়। এ ঘটনায় গত ২৫ নভেম্বর বিকেলে চট্টগ্রামে ফেরার পথে ঢাকার শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় দাসকে আটক করা হয়। পরে জানানো হয়, চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পরে ২৬ নভেম্বর আদালত এলাকায় সংঘর্ষ, ভাংচুর ও পুলিশের কাজে বাধাদানের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করেছে। ওই তিন মামলায় মোট ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো মোট ১৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেছেন। এতে অজ্ঞাতনামা আরো ১৫/১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। পাশাপাশি আলিফের ভাই খানে আলম বাদী হয়ে যানবাহন ভাংচুর ও জনসাধারণের ওপর হামলার ঘটনায় ১১৬ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেছেন নগরীর কোতোয়ালি থানায়। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ৩৯জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ।