চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাটে কোটা বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুইজন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন হলেন পটিয়া কলেজ শিক্ষার্থী ইমাদ। অন্যজন পথচারী। তবে তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। এছাড়া নগরের বহদ্দারহাট, শাহ আমানত সেতু ও জিইসি এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় অর্ধশত আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে বহদ্দারহাট মোড়ে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা অবস্থান নিলে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হন এই তরুণ। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করা হয়। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরেকজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সন্ধ্যায় চিৎিসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২টা থেকে শিক্ষার্থীরা বহদ্দারহাট মোড়ে জড়ো হতে থাকেন। এ সময় তাঁরা কোটা সংস্কার করা ও আন্দোলনে হামলার প্রতিবাদে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। এক ঘণ্টার মধ্যেই হাজারখানেক শিক্ষার্থী জমায়েত হন সেখানে। বেলা দেড়টার দিকে ছাত্রলীগ-যুবলীগের একটি মিছিল বহদ্দারহাট মোড়ের দিকে আসে। মিছিল থেকে শিক্ষার্থীদের জমায়েতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এরপর শিক্ষার্থীরাও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। বেলা দুইটা পর্যন্ত চলে সংঘর্ষ। এরপর পুলিশ রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে শিক্ষার্থীরা আবার জড়ো হলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। সকাল থেকে শাহ আমানত সেতু এলাকায়ও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল কবির বলেন, পুলিশ যথেষ্ট ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। পুলিশের ওপর ব্যাপক হারে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এক পর্যায়ে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে।