চট্টগ্রামে মো. সাহেদ হোসেন মনা (২৮) নামে পুলিশের এক তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে একই গ্রুপের সহযোগীরা তাকে খুন করে বলে জানা গেছে।
রোববার (৮ জুলাই) রাতে নগরের কোতোয়ালী থানার স্টেশন রোডে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত মো. সাহেদ হোসেন মনা নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজার এলাকায় থাকতেন। তার বাড়ি মিরসরাই উপজেলার মায়ানি ইউনিয়নের পূর্ব মায়ানি গ্রামে।
পুলিশ জানিয়েছে, সাহেদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় অস্ত্র, ডাকাতি ও দ্রুত বিচার আইনে আটটি মামলা রয়েছে। কোতোয়ালী থানার করা সন্ত্রাসী তালিকায়ও তার নাম আছে। ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, কিশোর গ্যাং পরিচালনা, মাদক বিক্রিসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মের সঙ্গে সাহেদ জড়িত ছিল। এছাড়া ২০২৩ সালের ৯ জুলাই নগরীর রিয়াজ উদ্দিন বাজারে এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার এক নম্বর আসামি ছিল সাহেদ। স্টেশন রোড ও রিয়াজউদ্দিন বাজার এলাকায় একটি বেশ কয়েকজন কিশোর-তরুণ নিয়ে গড়ে ওঠা একটি গ্যাংয়ের অন্যতম হোতা সাহেদ। সম্প্রতি নিজেদের গ্রুপের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। বিরোধের জেরে গ্রুপের আরেক হোতা জুয়েলের সঙ্গে গত রোববার রাতে পাখির গলিতে সাহেদের ঝগড়া হয়। জুয়েলের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত সাহেদকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস.এম ওবায়েদুল হক বলেন, ‘অনেকদিন যাবত দুই বন্ধুর মধ্যে ভাতের হোটেল নিয়ে দ্বন্দ্ব চলেছিলো। রোববার এই দ্বন্দ্বের জেরে লোকজন নিয়ে সাহেদকে মারধর করে তার বন্ধু। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মনাকে মৃত ঘোষণা করেন। সাহেদ খুনের ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
তিনি বলেন, ঘটনার সময় সাহেদ ও জুয়েলসহ অন্তত ২০ জন সেখানে ছিল। আমরা ১২ থেকে ১৫ জনকে শনাক্ত করেছি। এর মধ্যে ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ফরহাদ ও সজীব নামে দুজনকে সকালে রিয়াজউদ্দিন বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাহেদের বাবার করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ফরহাদ ও সজীবকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।