সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, নগরের প্রতিটি সংস্থা, সামাজিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সোসাইটির নেতৃবৃন্দ, মসজিদে জুমার নামাজের বয়ানে নাগরিকদের সচেতন করতে পারলে করোনার মতো ডেঙ্গুও প্রতিরোধ সম্ভব। করোনার মতো ঐক্যবদ্ধভাবে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধ করতে হবে। তিনি চট্টগ্রামকে একটি নিরাপদ বাসযোগ্য ও পরিচ্ছন্ন নগর হিসেবে গড়তে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) টাইগারপাসের অস্থায়ী কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়াসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিটি মেয়র বলেন, আমাদের চারপাশে যে সব জায়গায় এডিস মশা জন্মায় সেই সব জায়গায় যাতে এডিস মশা জন্মাতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। নালা-নর্দমায় এডিস মশা জন্মায় না। পরিষ্কার ও বদ্ধ পানি এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র। তাই বাসা-বাড়ির আশপাশে ডাব ও নারকেলের খোসা, প্লাস্টিকের বোতল, ফুলের টব, পরিত্যক্ত টায়ার, ছাদ বাগান ও ফ্রিজে জমানো পানি তিন দিনের বেশি যাতে জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বাসা বাড়ি, ছাদ-আঙিনা নিজ নিজ উদ্যোগে পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এটি আমাদের নাগরিক দায়িত্ব।
চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বি. জেনারেল তসলিম, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি পরিচালক ডা. মো. সাখওয়াত উল্লাহ্, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার ডা. হোসাইন সরোয়ার, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রক) ডা. মো. নুরুল হায়দার, ভারপ্রাপ্ত জেলা কীটতত্ত্ববিদ সৈয়দ মো. মঈন উদ্দীন। তারা ডেঙ্গু প্রতিরোধে মতামত দেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহী, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. মোরশেদুল আলম চৌধুরীসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।