‘ইয়োগা ফর সেলফ অ্যান্ড সোসাইটি’ বা ‘যোগ নিজের এবং সমাজের জন্য’ এই প্রতিপাদ্যে চট্টগ্রামে পালিত হলো দশম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস।
এ উপলক্ষে শুক্রবার (২১ জুন) বিকেলে নগরের টাইগারপাসের নেভি কনভেনশন হলে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনের পক্ষ থেকে যোগব্যায়াম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যোগব্যায়াম অনুশীলনে চট্টগ্রামের বিভিন্ন পেশা-শ্রেণীর প্রায় আট শতাধিক ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহন করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন।
তিনি বলেন, যোগ ব্যায়াম ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এটি দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী সাংস্কৃতিক ও জনগণের মধ্যে সম্পর্কের জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ শক্তি। যোগব্যায়াম বিশ্বের কাছে ভারতের একটি উপহার। কিন্তু এটি এখন সবাই গ্রহণ করছেন এবং এইভাবে এটি একটি সাধারণ ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে।
যোগের অনুশীলন তার তিনটি স্তম্ভ আসন (শরীরের ভঙ্গি), প্রাণায়াম (শ্বাসের ব্যায়াম) এবং ধ্যান যোগের মাধ্যমে মন এবং শরীরকে একীভূত করে আধুনিক সমাজের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে এবং এর জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়ছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, একটি শান্ত, সৃজনশীল এবং তৃপ্তিপূর্ণ জীবন যাপন করার উপায় হলো যোগ। এটি উত্তেজনা এবং মানসিক উদ্বেগ পরাস্ত করার পথ দেখাতে পারে।
পরে যোগ দিবসে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বে যোগ অনুশীলন করা হয়। অনুশীলনে চট্টগ্রামের বিভিন্ন পেশা-শ্রেণীর ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, ইস্পাহানি গ্রুপের চেয়ারম্যান মির্জা সালমান ইস্পাহানি, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা ও সিনিয়র সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম, সমাজসেবক রফিক আহমদ, চেম্বার পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া, চসিক কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, নিছার উদ্দিন মঞ্জু, রুমকি সেন গুপ্ত, শিপার্স কাউন্সিলের লোকপ্রিয় বড়ুয়া প্রমুখ।
প্রসঙ্গত; ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির আহ্বানে সাড়া দিয়ে, ১১ ডিসেম্বর ২০১৪ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। সেই থেকে, যোগব্যায়াম এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন কার্যক্রম এবং কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালিত হয়।