তৈরী পোশাক শিল্পের অসুস্থ শ্রমিকদের চিকিৎসা সহায়তা ও তাদের সন্তানদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তির ১৬ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করেছে বিজিএমইএ চট্টগ্রাম।
রোববার (৯ জুন) নগরীর খুলশী বিজিএমইএ ভবনের মাহাবুব আলী হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই চেক হস্তান্তর করা হয়।
বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে’অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী ও কল কারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর চট্টগ্রামের ডিআইজি শিপন চৌধুরী।
সভাপতির বক্তব্যে বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার সফলভাবে বাস্তবায়নের পর আমরা এখন নতুন লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছি, সেটি হলো স্মার্ট বাংলাদেশ। এখন শুধু প্রয়োজন বাস্তবায়ন আর এগিয়ে চলা।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক চলমান অর্থনৈতিক সংকটে রপ্তানিমুখী তৈরী পোশাক শিল্প বর্তমানে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এ অবস্থায় জাতীয় রপ্তানির প্রধান খাত হিসেবে খ্যাত গার্মেন্টস্ শিল্পের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার স্বার্থে এবং রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সহ অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে রপ্তানি খাতকে বিশেষভাবে প্রধান্য দিতে হবে। অন্যথায় এই সেক্টর খুব দ্রুত মুখ থুবড়ে পড়ার আশংকা রয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন- বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান খাত হল তৈরী পোশাক শিল্প। তৈরী পোশাক শিল্প বাংলাদেশের গর্ব। এ শিল্প দেশের প্রায় ৯০% রপ্তানি করে থাকে।
তিনি বলেন,দেশের ৪০ লক্ষ শ্রমিকের পাশাপাশি প্রায় ৪ কোটি মানুষ এই শিল্পের সাথে জড়িত। তৈরী পোশাক শিল্প কারখানা হলো আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম খাত। তাই পোশাক শিল্প কারখানাকে যে কোন দেশি বিদেশি চক্রান্তের হাত থেকে রক্ষার জন্য সকলকে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে দেন বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী। শ্রমিকদের কল্যাণে চট্টগ্রাম জেলার মেট্রোপলিটন এলাকার যে কোন স্থানে বিজিএমইএ কারিগরি স্কুল স্থাপনের জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট জোর দাবী জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিজিএমইএ’র পরিচালক এম. এহসানুল হক, আমজাদ হোসাইন চৌধুরী, মোস্তফা সরওয়ার রিয়াদ, রাকিব আল নাসের, গাজী মো. শহীদউল্লাহ্, মোঃ.আবচার হোসেন, প্রাক্তন পরিচালক এ.এম. চৌধুরী খোকন প্রমুখ।