সম্প্রতি ডিমের দাম বৃদ্ধির অভিযোগে চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী এলাকার ডিমের পাইকারি দোকান গুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, আগ্রাবাদ সার্কেল গালিব চৌধুরী এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন।
চট্টগ্রাম মহানগরীর সব থেকে বড় ডিমের আড়ত পাহাড়তলীতে মোবাইল কোর্ট শেষে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বৃন্দ জানান যে, বেশিরভাগ ডিমের দোকানে বিক্রয় রশিদ প্রদান করাহচ্ছেনা। কিছুবড় দোকান রশিদ প্রদান করলেও সেখানে রয়েছে শুভংকরের ফাঁকি। দোকানের মূল্য তালিকায় যে দাম লিখে রাখছে তা থেকে বেশি দামে ডিম বিক্রয় করছে। কারো কারো বিক্রয় রশিদে এটার প্রমাণ মিলছে।আবার অনেকে বিক্রয় রশিদই দিচ্ছেনা।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলাপ্রশাসক বলেন “সকল ব্যবসায়ীকে ন্যায্য মূল্য তালিকা প্রদর্শন করতে হবে এবং মূল্য তালিকা ছাড়া অধিক দামে ডিম বিক্রয় করতে পারবে না। কোন অসাধুব্যবসায়ী বেশিলাভের আশায় বা কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে ডিমের দাম বাড়িয়ে সংকট সৃষ্টি করে জনগনের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেকি-না এ বিষয়ে তদন্তকরে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করাহবে”।
অধিক মূল্যে ডিম বিক্রির দায়ে পাহাড়তলি বাজারের মেসার্স শাহজাহান স্টোর, জান্নাত পোল্ট্রি এবং আল-আমিন স্টোরকে মোট ৩ মামলায় ৯০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করাহয়। অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন শাহ মোহাম্মদ মোর্শেদ কাদের, সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম।