সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর পর বিজিবিও যোগ দিলো সীতাকুণ্ডের আগুন নিয়ন্ত্রণে

১০ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন জেলা প্রশাসনের

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে তুলার গোডাউনে লাগা আগুন ১৪ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে এখন ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কাজ শুরু করেছে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী।

শনিবার রাত ১০টায় জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে আছি। সন্ধ্যা থেকেই ঘটনাস্থলে আছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

রাতে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের পাশাপাশি সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর টিমও আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। সেনাবাহিনীর ৪ টি, নৌবাহিনীর ৪ টি, বিমান বাহিনীর ২ টি ইউনিটসহ মোট ১৯ টি ইউনিট কাজ করছে।

বিজিবির ৪ টি ফায়ার ফাইটিং ইউনিটও আসছে আগুন নেভাতে।

এছাড়া সম্প্রতি তুরস্কে ভুমিকম্প পরবর্তী উদ্ধারকার্যে অংশ নেয়া সেনাবাহিনীর বিশেষ উদ্ধারকারী টিম USAR ( Unit Search and Rescue Team) ঘটনাস্থলে আসছে।

এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ছোট কুমিরা নেমসন ডিপোর পাশে এসএল গ্রুপের মালিকানাধীন ইউনিটেক্স গ্রুপের ভাড়ায় নেওয়া একটি তুলার গোডাউনে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।

জেলা প্রশাসন জানায়, সপ্তাহ খানেক ধরে এসএল গ্রুপের গোডাউনটিতে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ওয়েল্ডিংয়ের আগুনের স্ফুলিঙ্গ থেকেই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামান ১০ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে- চট্টগ্রামের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক বদিউল আলমকে। সদস্য করা হয়েছে- চট্টগ্রাম পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ডিআইজি, সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), বিটিএমসির প্রতিনিধি, বিস্ফোরক পরিদপ্তরের প্রতিনিধি এবং বিটিএমইএর প্রতিনিধিকে।

এর আগে, গত শনিবার (৪ মার্চ) সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কদমরসুল কেশবপুর এলাকার সীমা অক্সিজেনে বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে সাতজন নিহত এবং ৩৩ জন আহত হয়। আর গত বছরের ৪ জুন রাতে সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় অবস্থিত বিএম ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুন লাগার ঘণ্টা খানেকের মধ্যে সেখানে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এরপর টানা ৮৬ ঘণ্টা আগুন জ্বলতে থাকে। ওই দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসকর্মী ও শ্রমিকসহ ৫১ জন নিহত হন। এছাড়া আহত হন প্রায় দুই শতাধিক।