পটিয়ায় পিতার মৃত্যুর মাস না পেরোতেই সম্পত্তির বিরোধকে কেন্দ্র করে ছেলের গুলিতে খুন হয়েছেন ৫৫ বছর বয়সী মা জেসমিন আক্তার।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বেলা পৌনে ২টার দিকে পটিয়া পৌরসভা ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নিজবাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জেসমিন আক্তার গত ১৩ জুলাই বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান জাতীয় পার্টির (এরশাদ) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও পটিয়া পৌরসভার প্রথম মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম মাস্টারের স্ত্রী। ঘটনার পর পালিয়ে যান ঘাতক পুত্র মাইনুল ইসলাম।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, পৈত্রিক সম্পত্তি ও বাবার রেখে যাওয়া টাকার ভাগাভাগির দ্বন্দ্বে এই ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, সদ্য প্রয়াত শামসুল আলম মাস্টারের দুই ছেলে ও এক মেয়ে। এর মধ্যে সবার বড় মেয়ে নিপা অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। বাবার মৃত্যুর পর থেকেই পরিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বড় ছেলে মাইনুলের সাথে মা জেসমিনের বিরোধ সৃস্টি হয়। তারই জের ধরেই এ হত্যাকান্ড বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে।
ঘটনার পর তার মেয়ে নিপা তাকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পথেই তিনি মারা যান।
ঘটনার পরপরই ঘাতক ছেলে পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘর তল্লাশী করে ১০ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে।
প্রতিবেশী শেলি আক্তার জানান, তাদের সাথে কোন ঝগড়াঝাটি হওয়ার আওয়াজ আমি শুনিনি তখন আমি পুকুরে ছিলাম। খুন হওয়া জেসমিন আক্তারের মেয়ে নিপা সহ স্থানীয়রা যখন দৌড়ে আসে আমি ও ঐখানে গিয়ে দেখি খুন হয়েছে আমার চাচি সম্পর্কের জেসমিন আক্তার।
স্থানীয় এক লোক নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, সদ্য প্রয়াত শামসুল আলম মাষ্টারের প্রায় নগদ আড়াই কোটি টাকা ছিল। যেটা নিয়ে কয়েকদিন ধরে ঘাতক ছেলে মাঈনুলের সাথে তার মা জেসমিন আক্তারের বাকবিতন্ডা হয়ে আসছিল।
এ বিষয়ে পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানান, ঘটনার খবর পেরে আমরা ঘটনাস্থল আসি। ঘাতক ছেলেকে পাওয়া যায়নি। ঘর তল্লাশী করে ১০ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করি। ঘাতক ছেলেকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
পিতা-মাতার অবাধ্য ৩৩ বছর বয়সী ঘাতকপুত্র মাইনুল বিবাহিত। স্ত্রীসহ চট্টগ্রামের চকবাজার এলাকায় বসবাস করেন।