১১ তরুণকে শেষ বিদায় হাটহাজারীতে, জানাযায় মানুষের ঢল

মিরসরাইয়ে মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১১ তরুণের নামাজে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (৩০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় হাটহাজারী উপজেলার আমানবাজার এলাকার খন্দকিয়া ছমদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ জনের এবং বাকি ৬ জনের জানাযা নিজ নিজ এলাকায় সম্পন্ন হয়।

জানাযার মাঠ ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। জানাযায় অংশ নেন হাটহাজারী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ মানুষ। পরে তাদেরকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এক সঙ্গে এতগুলো তরুনের মৃত্যুতে পুরো যেন এলাকা শোকাচ্ছন্ন। স্থানীয় লোকজন জানান, তারা এক সঙ্গে এত লোকের জানাযা আর দেখেননি।

এদিকে প্রিয়জনকে হারিয়ে নিহত স্বজনদের বাড়িতে বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। স্বজনহারাদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে সেখানকার পরিবেশ।

নিহতরা হলেন, চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আবু মুসা খানের বাড়ির মোতাহের হোসেনের ছেলে মোস্তফা মাসুদ রাকিব (১৯), ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ইলিয়াছ ভুট্টোর ছেলে মোহাম্মদ হাসান (১৭), একই ওয়ার্ডে খোন্দকার পাড়ার আবদুল হামিদের ছেলে জিয়াউল হক সজীব (২২), মোজাফফর আহমেদের ছেলে মোসহাব আহমেদ হিশাম (১৬), ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আজিজ মেম্বার বাড়ির জানে আলমের ছেলে ওয়াহিদুল আলম জিসান (২৩), একই বাড়ির পারভেজের ছেলে সাগর (১৭) ও একই এলাকার আবদুল ওয়াদুদ মাস্টার বাড়ির আবদুল মাবুদের ছেলে ইকবাল হোসেন মারুফ (১৭) ও মজিদ আব্বাস চৌধুরী বাড়ির বাদশা চৌধুরীর ছেলে শিক্ষক রিদুয়ান চৌধুরী (২২), আব্দুল আজিজ বাড়ির মৃত পারভেজের ছেলে তাসমির হাসান (১৭), মনসুর আলমের ছেলে মো. মাহিম (১৭) ও মাইক্রোচালক উপজেলার আজিম সাবরেজিস্ট্রার বাড়ির হাজী মো. ইউসুফের ছেলে গোলাম মোস্তফা নিরু (২৬)।

এর আগে শুক্রবার (২৯ জুলাই) রাতে আইনি প্রক্রিয়া শেষে বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে মীরসরাইয়ের বড়তাকিয়া রেলস্টেশনের কাছে খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় রেললাইন পার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ জন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত ৭ জন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।