চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের সদস্য না হয়ে কিভাবে সভাপতি -সাধারণ সম্পাদক হলেন, সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন লায়ন মো: আসলাম চৌধুরীর ।

চবি এলামনাই এসোসিয়েশনের এক অংশের দোয়া মাহফিল ১৮ জুলাই, ৮ আগস্ট ঈদ পুনর্মিলনী

জুলাই বিপ্লবের শহিদদের স্মরণে ও আহতদের আরোগ্য কামনায় আগামী ১৮ জুলাই দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের একঅংশ। পাশাপাশি ঈদ পুনর্মিলনী পিছিয়ে ৮ আগস্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। ঐদিন নগরীর জিইসি কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত হবে এই ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। এতে অংশ নিবেন বিভিন্ন ব্যাচের কয়েক হাজার প্রাক্তন শিক্ষার্থী। আয়োজকরা বলছেন, এটি শুধু একটি উৎসব নয়, বরং প্রাক্তনদের ঐক্য ও চেতনার একটি প্রতীকী মিলনমেলা।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের একটি রেস্টুরেন্টে ঈদ পুনর্মিলনী উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান এসোসিয়েশনের আহ্বায়ক লায়ন মো. আসলাম চৌধুরী এফসিএ।
সংবাদ সম্মেলনে মো. আসলাম চৌধুরী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে দেখছি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এলামনাই এসোসিয়েশন নানা কারণে স্থবির হয়ে পড়েছিল। বিভক্তি, মতানৈক্য ও বিভ্রান্তির চোরাবালিতে পড়ে আমাদের সম্মিলিত সম্ভাবনা থমকে গিয়েছিল। কিন্তু সময় এখন এক হওয়ার, গ্লানি ও বিভেদ ভুলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার। এই বিশ্বাস থেকে সর্বস্তরের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের অনুরোধে আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের আহ্বায়কের দায়িত্ব গ্রহণ করেছি।

তিনি বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই আমি সকল পক্ষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আন্তরিক আহ্বান জানিয়েছি। কারণ আমি বিশ্বাস করি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবকে অটুট রাখতে হলে বিভাজন নয়, প্রয়োজন ঐক্য। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে লক্ষ্য করছি, একটি অদৃশ্য চক্র এখনো বিভাজনের কূটকৌশলে লিপ্ত। তারা চায় না আমরা এক হই, তারা চায় না বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা একটি শক্তিশালী, সার্বজনীন ও কার্যকর সংগঠনে পরিণত হোক।
তিনি প্রশ্ন তোলে, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এলামনাই এসাসিয়েশনের সদস্য না হয়ে কিভাবে সভাপতি- সাধারণ সম্পাদক হয়। অন্য কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক তারা চবি এলামনাই এসোসিয়েশনের সদস্য হয়নি। ফলে আদালত এবং সমাজসেবা অধিদপ্তর তাঁেদর দ’ুজনের সদস্যপদ স্থগিত করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, সদস্যদের ভোটে একটি নির্বাচন আয়োজন করা। সে সাথে আমাদের স্লোগান “ঐক্যই শক্তি, বিভাজন নয়।”

 


আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পুনর্মিলনী উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ একরামুল করিমকে আহ্বায়ক ও কামরুল হাসান হারুনকে সদস্য সচিব করে ১০১ সদস্যের একটি উদযাপন পরিষদ গঠিত হয়েছে। কমিটির অধীনে সার্বিক ব্যবস্থাপনা, রেজিস্ট্রেশন, অভ্যর্থনা, আপ্যায়ন, সাংস্কৃতিক, মিডিয়া, শৃঙ্খলা, অর্থ ও র‌্যাফেল ড্রসহ মোট নয়টি উপ-কমিটি কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে অংশ নিতে রেজিস্ট্রেশনকৃত অংশগ্রহণকারীদের আমন্ত্রণপত্র আনতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় থাকবে শৃঙ্খলা উপ-কমিটি ও প্রশাসনের সহযোগিতা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের উপস্থিত ছিলেন, ঈদ পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ একরামুল করিম, এলামনাই আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহবুবের রহমান শামীম, এম এ হালিম, ঈদ পুনর্মিলনী উদযাপন পরিষদ এর সদস্য সচিব কামরুল হাসান হারুন, যুগ্ম সদস্য সচিব এম ডি ফখরুল ইসলাম, যুগ্ম-আহ্বায়ক এডভোকেট ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন, দাউদ আব্দুল্লাহ লিটন, সাংবাদিক শিমুল নজরুল, সোহরাব হোসেন সোহেল, মোহাম্মদ সেলিম উদ্দীন, হাফিজ আল আসাদ, মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, সাইফুর রহমান শপথ, রেজোয়ান নূর সিদ্দিকী, রাশেদ আনোয়ার, মামুনুর রশীদ, শাহেদুল ইসলাম, আতিকুল্লাহ, মো. খোরশেদ আলী সহ অন্যরা।