নির্বাচনের আগে হাসিনার বিচার নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচনী রোডম্যাপ দেওয়া হয়েছে, তার আগেই জুলাই সনদকে আইনি কাঠামোয় আনতে হবে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) রাতে নগরীর ২ নম্বর গেইটস্থ চট্টগ্রাম কনভেনশন হলে চট্টগ্রামস্থ বান্দরবানবাসীর আয়োজিত মিলনমেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় স্কুল-কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে এবং সাবেক বান্দরবান জেলা সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বান্দরবান জেলা জামায়াতের আমির এস এম আব্দুস সালাম আযাদ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ শাহজাহান আরো বলেন, এডভোকেট আবুল কালাম এখন বান্দরবানের সর্বস্তরের মানুষের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে পরিণত হয়েছেন। আমরা নতুন একটি বাংলাদেশ বিনির্মাণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তির এক বছর পূর্তি হয়েছে তবে জুলাই বিপ্লবের পর জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হয়নি।
তিনি বলেন, যখনই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক না কেন, জামায়াতে ইসলামী সবসময় প্রস্তুত। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচনী রোডম্যাপ দেওয়া হয়েছে, তার আগে জুলাই সনদকে আইনি কাঠামোয় আনতে হবে। দেশের নাগরিকদের চাহিদা পূরণ করতে হলে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে। আগে হাসিনার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। হাসিনার বিচার ছাড়া নির্বাচন উৎসবমুখর হবে না।
তিনি আরও বলেন, দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ ও অধিকাংশ রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চায়। বান্দরবান-৩০০ আসন থেকে আমরা ঘোষণা দিচ্ছি দেশে অবশ্যই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে।
তিনি কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, টার্গেটভিত্তিক কাজ করতে হবে। নিজ নিজ কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ও তথ্য মুখস্থ রাখতে হবে। মহিলা সমাবেশ, যুব সমাবেশ, উঠান বৈঠক শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। শহর থেকে গ্রামে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে কাজ করতে হবে। ভোটারদের নার্সিং করতে হবে। অমুসলিম ভাইবোনদের মাঝেও গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। আবুল কালামের সততা ও অবদান ঘরে ঘরে তুলে ধরতে হবে। ঘরে ঘরে গিয়ে দাঁড়িপাল্লার দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে।
সংসদ সদস্য প্রার্থী এডভোকেট আবুল কালাম বলেন, বান্দরবানে জামায়াত অতীতেও নির্বাচন করেছে। প্রতিটি গ্রাম ও গঞ্জে দাঁড়িপাল্লার দাওয়াত পৌঁছাতে হবে। বান্দরবানকে সন্ত্রাসমুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত ও শান্তিপ্রিয় জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। জেলা পরিষদের দায়িত্ব পালনকালে আমি কখনো বৈষম্য করিনি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এডভোকেট আবু নাসের, বাইশারী ইউনিয়ন সভাপতি মো. সেলিম, মাওলানা আইয়ুব আলী আনসারী, মহসিন কলেজ সভাপতি খুররম আহমেদ, ছাত্রশিবির বান্দরবান জেলা সেক্রেটারি মোস্তাক আহমেদ, ছাত্রশিবির মহানগর দক্ষিণের সাবেক সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল মামুন, চট্টগ্রাম বারের আইনজীবী এডভোকেট ইব্রাহিম মোজাহিদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থী মাইন উদ্দিন, চাক সম্প্রদায়ের নেতা জীবন চাক, তাওহীদুল ইসলাম তকি, ইউনুস মিয়া, বান্দরবান ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি আসিফ ইকবাল, ব্যবসায়ী মো. ইউসুফ, নুরুল আজিজ প্রমুখ।