সব ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সবাইকে সাথে নিয়ে চট্টগ্রামকে ক্লিন, গ্রীন, হেলদি ও সেফ সিটি গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
শনিবার চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউট হলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ-এর আয়োজনে শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এসব কথা বলেন ।
মেয়র আরো বলেন, সমাজ পরিবর্তনের জন্য আমাদেরকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে এবং সৎ মানুষদের লালন করতে হবে। আমরা চাই এই শহরকে ‘ক্লিন সিটি, গ্রীন সিটি, হেলদি সিটি ও সেফ সিটি’ হিসেবে গড়ে তুলতে। সেফ সিটি মানে হচ্ছে এমন এক শহর, যেখানে সব ধর্মের, সব বর্ণের, সব রাজনৈতিক মতের মানুষ নিরাপদে বসবাস করতে পারে। এখানে কারো প্রতি হিংসা, বিদ্বেষ বা সহিংসতার কোনো স্থান থাকবে না । আমি বিশ্বাস করি, সাম্য আর সম্প্রীতির মাধ্যমে আমরা সেই চট্টগ্রাম গড়ে তুলতে পারব।”
অনুষ্ঠানে সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, “দুঃখজনকভাবে গত ১৫ বছরের শাসনামলে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নানা নিবর্তনের শিকার হয়েছেন। আমি দলীয় নির্দেশনায় নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ছুটে গেছি নাসিরনগরে, কলমাকান্দায়, বানরীপড়ায়, ঠাকুরগাঁয়ে, কুমিল্লাতে,যশোরে অভয়নগরে। কারণ আমরা চাই বাংলাদেশ হোক অসাম্প্রদায়িক, সহনশীল ও সবার দেশ।”
প্রকৌশলী প্রবাল রক্ষিতের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার ডাক্তার রাজীব রঞ্জন, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) শারমিন জাহান, চসিক সচিব আশরাফুল আমিন, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আলমগীর হোসেন, সাবেক কাউন্সিলর ইসমাঈল বালি, চসিক পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি আশুতোষ দে, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী সৌমনাথ দাশ গুপ্ত, অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল,সৌরভ প্রিয় পাল,বিপ্লব কুমার চৌধুরী ,রতন চৌধুরী , টিংকু কুমার ভৌমিকসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।