বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেছেন, যারা ১৯৭১সালে দেশের বিরুদ্ধে, স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল সেই পরাজিত শক্তি এখন আবারো ২০২৫ সালে এসে দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। সে দলের নেতারা গুপ্তভাবে স্বাধীনতার মহান ঘোষক সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও দেশনায়ক তারেক রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা একাত্তরে যেমন জিয়াউর রহমানের হাতে পরাস্ত হয়েছিল ঠিক তেমনি এখন দেশনায়ক তারেক রহমানের হাতে পরাস্ত হবে। ব্যারিস্টার হেলাল হুঁশিয়ার করে বলেছেন, বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন দেশনায়ক তারেক রহমান ও বিএনপিকে নিয়ে আর কোনো ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিলে এবং অপপ্রচার চালালে পিটের চামড়া থাকবে না।
তিনি আরো বলেন, বিএনপিকে নিয়ে যতই ষড়যন্ত্র হউক না কোন কাজ হবেনা। আকাশের বিশালতার মতোই তারেক রহমানের বিশালতা। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করতে এবং নির্বাচন থেকে তারেক রহমান ও বিএনপিকে দূরে রাখতে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট অপশক্তির সাথে হাত মিলিয়ে গুপ্তভাবে এ ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
ব্যারিস্টার মীর হেলাল (শুক্রবার) জুলাই-আগষ্ট গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল, কালো ব্যাচ ধারণ, মৌন মিছিল পূর্ব বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
কর্ণফুলী উপজেলার ক্রসিং এলাকায় আয়োজিত এ মৌন মিছিলপূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্য দেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব ইদ্রিস মিয়া। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব আলী আব্বাস, যুগ্ম আহবায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা সহ অন্যরা। উপস্থিথ আজিজুল হক চেয়ারম্যান, নুরুল আনোয়ার চৌধুরী, আসহাব উদ্দিন চৌধুরী, জামাল হোসেন, মুজিবুর রহমান, রেজাউল করিম নেচার, সাইফুদ্দীন সালাম মিঠু, সদস্য বদরুল খায়ের চৌধুরী, এস এম মামুন মিয়া, আমিনুর রহমান চৌধুরী, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, কামরুল ইসলাম হোসাইনী, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, নাজমুল মোস্তফা আমিন, মাষ্টার মোহাম্মদ লোকমান, শওকত আলম চৌধুরী, এস এম ছলিম উদ্দিন খোকন চৌধুরী, হাজী মো: রফিকুল আলম, মাষ্টার রফিক আহমদ, রাজীব জাফর চৌধুরী, সাজ্জাদুর রহমান চৌধুরী, সরওয়ার হোসেন মাসুদ, জাহাঙ্গীর কবির, হাজী মোহাম্মদ ওসমান, জাগির আহমদ, আমিনুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক বেলাল, জসিম উদ্দিন, সালাউদ্দীন চৌধুরী সোহেল, শেফায়েত উল্লাহ চক্ষু, ফৌজুল কবির ফজলু, মোহাম্মদ শাহীনুর শাহীন, মোহাম্মদ ইসমাইল, ইখতিয়ার হোসেন ইফতু, খন্দকার হেলাল উদ্দিন, জাবেদ মেহেদী হাসান সুজন, মো:ইব্রাহীম, দিল মোহাম্মদ মনজু, এম মনছুর উদ্দিন, মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, ছালেহ জহুর, দেলোয়া আজিম, শাহাদাত হোসেন সুমন, দেলোয়ার হোসেন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো: আজগর, জেলা কৃষক দলের আহবায়ক মহসিন চৌধুরী রানা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জমির উদ্দিন মানিক, জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক রবিউল হোসেন রবি, সদস্য সচিব কামরুদ্দিন সবুজ, জেলা বিএনপি নেতা লোকমান হাকিম মানিক, ইব্রাহীম খলিল, নুরুল কবির, নওয়াব মিয়া, রাসেল ইকবাল মিয়া, শহিদুল্লাহ চৌধুরী, এ্যাডভোকেট আবু তাহের, আবু সেলিম চৌধুরী, এস আবু সাঈদ চৌধুরী টিটু, আবু তাহের বিএসসি, লায়ন নাছির উদ্দিন, এরশাদুর রহমান রিটু, নুরুল কবির বাদশা, যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোজাম্মেল হক, আবু আহমদ, গাজী ফোরকান, নুরুল কবির রানা, মীর জাকের আহমদ, জান্নাতুন নাইম রিকু, ওলামা দলের আহবায়ক মাওলানা মুজিবুর রহমান, মো: জাহেদ, জেলা ছাত্রদল নেতা ইসমাইল বিন মনির ও তারেক রহমান প্রমুখ।
মৌণ মিছিলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আওতাধীন ১৫উপজেলা-পৌরসভা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। মিছিলটি কর্ণফুলী মেগা কনভেনশান সেন্টারের সামনে থেকে শুরু হয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে মইজ্জারটেক এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। এর আগে জুলাই-আগস্টে নিহত সকল শহীদের স্মরণে এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করে দোয়া মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।