মেরিন একাডেমিকে আন্তর্জাতিক মানের করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। আজ সোমবার সকালে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি চট্টগ্রামের ৫৮ তম ব্যাচ ক্যাডেটদের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নৌ উপদেষ্টা বলেছেন, এই একাডেমি অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে স্থাপিত। মেরিন একাডেমির সার্বিক উন্নয়নে মাস্টার প্ল্যান হাতে নেওয়া হবে। এখানকার অনেক বিল্ডিং সংস্কার করতে হবে। এখানে আরও কিছু ডেভেলপমেন্ট প্রয়োজন। সবশেষে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিকে আন্তর্জাতিক মানের করা হবে
তিনি আরো বলেন, আমরা দেশী-বিদেশী শিপিং কর্পোরেশনগুলোর সঙ্গে কথা বলছি যাতে আমাদের মেরিনারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়। ইতিমধ্যে আমাদের মেরিনাররা বিভিন্ন দেশে কাজ করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মেরিন একাডেমির ৫৮ তম ব্যাচের ২৩৮ জন ক্যাডেট সমুদ্রে পদার্পণ করতে যাচ্ছেন। এ ব্যাচের নটিক্যাল শাখায় ১১৮ জন ও ইঞ্জিনিয়ারিং শাখায় ১২০ জন মিলিয়ে ২৩৮ জন ক্যাডেট দুই বছর ধরে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। তারা প্রশিক্ষিত হয়ে দেশি-বিদেশি সমুদ্রগামী জাহাজে যোগদান করবেন। এসব ক্যাডেট বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি আমাদের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে সক্ষম হবেন। এ সময় মেরিনারদের বিদেশে গিয়ে দেশের মান রেখে কাজ করার আহবান জানান নৌ উপদেষ্টা।
অনুষ্ঠানে ৫৮ তম ব্যাচ ক্যাডেটদের মধ্যে সর্বোচ্চ কৃতিত্বের জন্য মো. মিনহাজ সাদমানকে রাষ্ট্রপতির স্বর্ণপদকে ভূষিত করা হয়। পাশাপাশি এ বছর সমাপনী পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বরধারী নৌ শাখার মো. ইবনে ফয়সাল তানভীর মজুমদার ও প্রকৌশল শাখায় ইফাদ হাসান অনীককে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের রৌপ্যপদক দেওয়া হয়।
মেরিন একাডেমি সূত্র জানায়, ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠার পর গত ৬২ বছরে এই একাডেমি থেকে প্রায় ৫ হাজার ৬০০ জন ক্যাডেট প্রশিক্ষিত হয়েছেন। তারা দেশি–বিদেশি বিভিন্ন জাহাজে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। শুধু তা–ই নয়, মেরিন পেশাজীবীদের মাধ্যমে দেশে বছরে রাজস্ব আসে তিন হাজার কোটি টাকার ওপরে।