চট্টগ্রামে করোনার চোখ এবার নগরে

আক্রান্ত ও মৃত্যু কমেছে উপজেলায়

চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা নীচে নেমেছে। রোববার (১৯জুলাই) করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের মধ্যে ৪ জন নগরের ও ২জন উপজেলার বাসিন্দা। এই সময়ে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয় আরও ৭৬৫ জন। যাদের মধ্যে ৫৬৮ জন নগরের ও ১৯৭ জন উপজেলার বাসিন্দা।

সোমবার (১৯ জুলাই) রাতে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় প্রকাশিত করোনা বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।

তথ্য অনুযায়ী, রবিবার চট্টগ্রামের সরকারি বেসরকারি ৯ টি এবং এন্টিজেন বুথে সর্বমোট ২ হাজার ৪৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। তাতে ৭৬৫ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয় ৷ এনিয়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭১ হাজার ৬৬৭ জনে। আর মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪১ জনে।

রিপোর্ট অনুযায়ী রবিবার মৃত্যু ও শনাক্তে চট্টগ্রাম মহানগরে করোনার দাপট ছিল বেশী।

আর উপজেলা পর্যায়ে উত্তর চট্টগ্রাম কয়েক সপ্তাহ শীর্ষে থাকার পর করোনা এখন চোখ রাঙ্গাচ্ছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের উপজেলাগুলোতে।

রিপোর্ট পর্যালোচনায় দেখা যায়- রবিবারও সর্বোচ্চ আক্রান্ত ছিল দক্ষিণ চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে। এখানে এদিন আক্রান্ত হয় ৩০জন। এর পরে আছে পটিয়া ২৮ জন। তার পরের স্থানে আছে উত্তর চট্টগ্রামের মীরসরাই ২৪জন। এর পরের অবস্থানে সীতাকুণ্ডের ১৯ জন,সন্দ্বীপ ১৬ জন, লোহাগাড়া ১৫ জন, সাতকানিয়া ও বাঁশখালী ১৩জন করে, চন্দনাইশ ১১ জন,রাউজান ৮জন, ফটিকছড়ি ও হাটহাজারী ৬ জন করে, আনোয়ারা ৫জন এবং রাঙ্গুনিয়া ৩ জন করে।

আগের দিন শনিবার সর্বোচ্চ আক্রান্ত ছিল পটিয়া ৪৫ জন। এর পরে রাউজানে ৪২ জন, বোয়ালখালী ৪০ জন, হাটহাজারী ২৮ জন, ফটিকছড়ি ২৭ জন, চন্দনাইশ২৬ জন, রাঙ্গুনিয়া ১৮ জন, বাঁশখালী ১৮ জন, সীতাকুণ্ড ১৭ জন, মিরসরাই ১৩ জন, সন্দ্বীপ ১৩ জন, লোহাগাড়া ৮ জন, সাতকানিয়া ৮ জন ও আনোয়ারার ৩ জন।

coronavirus
Comments (৪)
Add Comment