চট্টগ্রামে নিখোঁজের চার দিন পর কর্ণফুলীর শিকলবাহা খাল থেকে দিলরুবা বেগম পপির (৩৫) লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তাঁর স্বামীআবদুল আলিমকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে আবদুল আলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে একইদিন কর্ণফুলী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ছোট ভাই সেলিম উল্লাহ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের পর থেকে দুজনের মধ্যে বনিবনা ছিল না। গত ২৭ অক্টোবর রাতে আবদুল আলিম ফোন করে স্ত্রীর ভাইকে জানান, তাঁদের বোনকে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি। পরে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। স্বামী আলিমই খুন করে তাঁর লাশ গুম করতে নদীতে ফেলে দিয়েছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, নারীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী আবদুল আলিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে আরও তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার সকালে কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা খালে ভাসমান অবস্থায় লাশ ভাসতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় এবং গতকাল দুপুরে লাশের পরিচয় জানা যায়। ২০১০ সালে কোতোয়ালি থানা এলাকার আবেদিন কলোনির আবদুল আলিমের (৪০) সঙ্গে দিলরুবা বেগমের বিয়ে হয়। দিলরুবা পপি তার স্বামী আবদুল আলিমের সঙ্গে কোতোয়ালি থানার লাভলেইন এলাকায় থাকতেন। তাঁদের ঘরে এক ছেলে এক ও মেয়েসন্তান রয়েছে।
এদিকে পপির ভাই সেলিম উল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, বিয়ের পর থেকে আলিম আমার বোনকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। আমার বোন এসব বিষয় আমাদের জানিয়েছিলেন। পরে আমরা কয়েকবার সামাজিকভাবে সেটা সমাধানের চেষ্টা করি। তিনি বলেন, গত ২৭ অক্টোবর রাতে আলিম আমাদের ফোন দিয়ে বলেন বোনকে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর আমরা বিভিন্ন জায়গায় বোনের খোঁজ করেও পাইনি। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আমরা জানতে পারি, কালারপোল ব্রিজের নিচ থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর আমরা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে বোনের লাশ শনাক্ত করি।’