মামলার আসামিরা হলেন- ইসকনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও পুণ্ডরীক ধাম মন্দিরের অধ্যক্ষ চন্দন কুমার ধর প্রকাশ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী (৩৮), চট্টগ্রামের হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক অজয় দত্ত (৩৪), নগরীর প্রবর্তক ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলা রাজ দাশ ব্রহ্মচারী (৪৮), গোপাল দাশ টিপু(৩৮), ডা. কথক দাশ (৪০), প্রকৌশলী অমিত ধর (৩৮), রনি দাশ (৩৮), রাজীব দাশ (৩২), কৃষ্ণ কুমার দত্ত (৫২), জিকু চৌধুরী (৪০), নিউটন দে ববি (৩৮), তুষার চক্রবর্তী রাজীব (২৮), মিথুন দে (৩৫), রুপন ধর (৩৫), রিমন দত্ত (২৮), সুকান্ত দাশ (২৮), বিশ্বজিৎ গুপ্ত (৪২), রাজেশ চৌধুরী (২৮) এবং হৃদয় দাশ (২৫)।
এ ঘটনায় রাজেশ চৌধুরী ও হৃদয় দাশ নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহের ধারা সংযুক্ত আছে। এ ঘটনায় রাজেশ চৌধুরী ও হৃদয় দাশকে বুধবার রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান তিনি।
কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গত ৫ অগাস্ট গণঅভুত্থানের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা নিউমার্কেট মোড়ে একটি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে। গত ২৫ অক্টোবর লালদিঘী মোড়েসমাবেশের দিন ওই পতাকার ওপর সাম্প্রদায়িক ধর্মীয় গোষ্ঠী ইসকনের গেরুয়া রঙের ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করে স্থাপন করে দেওয়া হয়, যা রাষ্ট্রের অখণ্ডতাকে অস্বীকার করার সামিল।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, জাতীয় পতাকার ওপর ধর্মীয় পাতাকা উত্তোলন করে আসামিরা দেশের ভেতর অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দেশকে অকার্যকর করার রাষ্ট্রদোহ কাজে লিপ্ত আছে।
দণ্ডবিধির ১২০(খ), ১২৪(ক), ১৫৩(ক), ১০৯ ও ৩৪ ধারায় মামলাটি দায়ের হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইসকন সংগঠক চিন্ময় কৃঞ্চ দাশ ব্রহ্মচারী সনাতন জাগরণ মঞ্চ নামে একটি সংগঠনের মুখপাত্রের দায়িত্বে আছেন। গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরীর লালদিঘী মাঠে সংগঠনটির উদ্যোগে মহাসমাবেশ হয়, যাতে প্রায় লাখো মানুষের সমাগম ঘটে। সমাবেশ থেকে দেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলায় সমাবেশ এবং ঢাকা অভিমুখে লংমার্চের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।