ঘুষ নেয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সার্ভেয়ার মো. সেলিমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে সার্ভেয়ার মো. সেলিম আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, ২০১৯ সালে দুদকের করা মামলায় সম্পৃক্ততা পাওয়ায় আদালতে তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও তিনজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে আসামি সেলিম আজ বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমপর্ণ করে জামিন আবেদন করে। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন অফিসের এলএ শাখার চেইনম্যান মো. নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে দুদক। তার ড্রয়ারে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৮ লাখ টাকা ও ৯১ লাখ ৮৩ হাজার টাকার অগ্রিম ঘুষের চেক উদ্ধার করা হয়। একই জায়গা থেকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহায়ক মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীনকে ঘুষের ৫৭ হাজার টাকা সহ গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন অর্থাৎ ৮ নভেম্বর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম -২ এর তৎকালীন সহকারী পরিচালক রতন কুমার দাস বাদি হয়ে দুদক আইনে একটি মামলা করেন।
পরে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পান একই কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আতিকুল আলম। চলতি বছরের ৩০ জুন তিনি তদন্ত করে এ ঘটনায় আরও তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তারা হলেন, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির মুরাদপুর শাখার সাবেক অপারেশন ম্যানেজার মো. ইব্রাহিম মিয়া, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সার্ভেয়ার মো. সেলিম এবং নগরের আকবর শাহ থানার উত্তর কাট্টলীর মুকিম তালুকদার বাড়ির বাসিন্দা মো. নাছির আহমেদ। আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে গত ১৮ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।