সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর (গোয়েন্দা) পুলিশ। আজ রোববার বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবির একটি টিম। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের মিরসরাই ও জোরারগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি কার্যালয়ে আনা হচ্ছে। সাবেক এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
জানা গেছে, ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর চট্টগ্রাম শহরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে বিএনপির কর্মিসভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে মিরসরাই উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে ২৫টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে মিরসরাই থানায় সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন ও তাঁর ছেলে সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমানসহ ১২৬ জনের নামে একটি মামলা হয়েছে।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন চট্টগ্রাম-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। চট্টগ্রাম-১ আসন থেকে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথম, তৃতীয়, সপ্তম, নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ সালে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন সংবিধান প্রণেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বলে জানা গেছে।
২০১৭ সালে কক্সবাজারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলা, বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য ইশরাক হোসেনের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে একাধিক মামলা রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সম্প্রতি মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর মিরসরাই পৌরসভায় অবস্থিত উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও তাঁর ছেলে মাহবুব উর রহমানসহ ৯০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে মিরসরাই ও জোরারগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর তিনি চট্টগ্রাম, ফটিকছড়ি ও ঢাকায় আত্মগোপনে ছিলেন।