নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক সচিব হেলালুদ্দীন আহমদকে (৬২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশি থেকে তাকে কোতোয়ালি থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, সাবেক ইসি সচিব হেলাল উদ্দিনকে ঢাকা মেট্রোপলিটন থানার বিস্ফোরক আইনের মামলায় (যার নম্বর-৪৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি কোতোয়ালী থানা পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। তাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
পুলিশ জানায়, গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে খূলশী তুলাতলী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে সাবেক ইসি সচিব হেলাল উদ্দিন আহমদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম আদালতে একরামুল করিম নামের এক মুক্তিযোদ্ধার করা মামলায় সাবেক ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী সংসদ সদস্যদের আসামি করে চট্টগ্রামে প্রতারণা ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
বাদীর আইনজীবী কফিল উদ্দিন বলেন, মামলাটি আদালত পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনে বিরোধী দলসহ অনেক জনপ্রিয় নেতার অংশগ্রহণ ছিল না। সাধারণ মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। যাঁরা কমিশনে ছিলেন, তাঁদের ব্যর্থতার কারণে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও নির্বাচনী মাঠে একপেশে আচরণ করেছে।
তিনি বলেন, বিপুল টাকা ব্যয়ে যে তিনটি নির্বাচন হয়েছে, তাতে সংবিধানের খেলাপ করেছেন নির্বাচন কমিশনারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তাই রাষ্ট্রদ্রোহ ও প্রতারণার মামলা করা হয়েছে। একই সঙ্গে এসব নির্বাচনে যাঁরা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, অবৈধভাবে সুযোগ–সুবিধা ভোগ করায় তাঁদেরও মামলায় আসামি করা হয়েছে।
ইসির সাবেক সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ১৯৮৮ সালে ৭ম বিসিএস-এ নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তিনি ২০১৭-১৯ সাল পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবের দায়িত্বে ছিলেন। সর্বশেষ স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে ২০২২ সালের মে মাসে অবসরগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ২০২৩ সালে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য হন এবং গত ৮ অক্টোবর পদত্যাগ করেন তিনি।