থানায় মামলা করতে গিয়ে আটক হত্যা মামলার আসামি

চট্টগ্রামে কর্ণফুলি থানায় মামলা করতে গিয়ে আটক হয়েছেন এমরান হোসেন বাবলু (২৯) নামে এক যুবক। একই সময় আরো দুই যুবককে আটক করা হয়। তারা হলেন, মো. দেলোওয়ার ও ইকবাল। মঙ্গলবার রাতে তাদের আটক করা হয়।

জানা গেছে, আটক ইমরান ওই এলাকার  জাফর হত্যা মামলার প্রধান আসামি। সে মামলায় ইমরান জামিনে থাকলেও আরেক সিআর মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি। আটক ইমরান হোসেন বাবলু কর্ণফুলীর চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া (৬ নম্বর ওয়ার্ড) আবদুল মোনাফ বাড়ির রেজাউল করিমের ছেলে। তার মায়ের নাম সাজেদা বেগম। বাবলুর অপর নাম সৈয়দ মোহাম্মদ ইমরান।

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিএমপি বন্দর জোনের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি) শাকিলা সোলতানা।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের আলী হোসেন এলাকায় একটি প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেটকারের সামনের গ্লাস ভেঙে যায় ও মোটরসাইকেলেরও কিছুটা ক্ষতি হয়। প্রাইভেটকারের চালক ছিলেন ইমরান হোসেন বাবলু। এ ঘটনায় সে থানায় মামলা করতে আসে। মোটরসাইকেল আরোহী দুইজনও থানায় আসেন। পরে পুলিশ  তথ্য উপাত্ত যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে জানতে পারেন মামলা করতে আসা প্রাইভেটকার চালক যুবক (ভিকটিম) বাবলু কর্ণফুলীর জাফর হত্যা মামলা ও চেক প্রতারণা মামলার আসামি। পুলিশের খোঁজে তাঁর সত্যতাও মিলে। আটক তিনজন ছাত্রলীগের কর্মী বলে জানা যায়। এতে বেরিয়ে আসে ইমরান হোসেন বাবলু সিআর সাজাপ্রাপ্ত আসামি। পরে অধিকতর তদন্তের প্রয়োজনে তিনজনকে থানায় আটক রাখা হয়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিন জনেই থানা হাজতে রয়েছেন বলে জানা যায়। বাকি দুজনের পরিচয় তাৎক্ষণিক জানাতে পারেনি পুলিশ। তবে তারা ছাত্রলীগের কর্মী বলে জানা যায়।

পুলিশ আরো জানায় গত বছরের ২৩ ডিসেম্বরেও কর্ণফুলী থানা পুলিশের এক বিশেষ অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার হন এই ইমরান হোসেন বাবলু ও সাজেদা বেগম সাজু। জানা যায়, সাজেদা বেগম তার মা। গত ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া ফকির মসজিদের সামনে সংঘটিত জাফর আহমদ হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি ইমরান হোসেন বাবু। যার কর্ণফুলী থানা মামলা নং-৩৭/৩০৪। এ মামলায় আরো ৬ জনের নাম উল্লেখ্যসহ অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহত জাফরের স্ত্রী ফাতেমা বেগম। এ ঘটনার পর জাফর হত্যাকাণ্ডে ইমরান হোসেন বাবুর ফাঁসির দাবিতে কর্ণফুলী জুড়ে পোস্টারিং করেছিল এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, বিষয়টি এখনো প্রক্রিয়াধীন। তবে তিনজনেই থানায় আটক রয়েছেন।