৫০৬ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের মামলায় ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ক্যাপ্টেন সোহেল হাসানকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার (২০ অক্টোবর) চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এই আদেশ দেন। একই আদেশে এ মামলার ৩ থেকে ১২ নম্বর বিবাদীদের পাসপোর্টসহ পরবর্তী ধার্য তারিখে আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার পরবর্তীতে আগামী ১৮ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
আদালতের বেঞ্চ সহকারি রেজাউল করিম জানান, ব্যাংক এশিয়ার লিমিটেডের ৫০৬ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের মামলায় ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের এমডি ক্যাপ্টেন সোহেল হাসানকে আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যাতে দেশত্যাগ করতে না পারেন সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদেশের কপি বিশেষ পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন) বিশেষ শাখা, বাংলাদেশ পুলিশ মালিবাগ ঢাকা বরাবরে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
অর্থঋণ আদালত সূত্র জানায়, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড আগ্রাবাদ শাখা ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর ৫০৫ কোটি ৯০ লাখ ১ হাজার ৯২৪ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ১১ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এ মামলায় ২ নম্বর বিবাদী ক্যাপ্টেন সোহেল হাসান। আপস মীমাংসার অংশ হিসেবে এ মামলার ৬ নম্বর বিবাদী ৬ কোটি টাকা পরিশোধ করেন। অন্য বিবাদীরা এ মামলায় এখনও হাজির হননি।
এদিকে আদালতে ব্যাংকের আবেদনে বলা হয়, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আদালতে আনুমানিক ২ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণের মামলা রয়েছে। বিপরীতে বন্ধকী সম্পত্তির পরিমাণ নগণ্য। বিবাদীরা ইতোমধ্যে পার্লামেন্টে ঘোষিত শীর্ষ ২০ ঋণ খেলাপির অন্যতম। খেলাপি ঋণের দায় স্বীকার করলেও দায় পরিশোধে এগিয়ে আসছেন না তারা। বিবাদীরা দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশত্যাগের পাঁয়তারা করছেন। দেশত্যাগ করতে পারলে বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ আদায় অযোগ্য হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।