সিএমপি’র ষোল থানায় ১৬২ মামলা, গ্রেপ্তার ৪৯৪

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ-সিএমপি’র ১৬ থানায় গত ১৫ দিনে ১৬২টি মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় ৪৯৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় রুজু হয়েছে ১১টি মামলা ও গ্রেপ্তার করা হয় ৩৩ জনকে। অস্ত্র উদ্ধারের মধ্যে দুইটি পিস্তল ও পাঁচটি দেশীয় অস্ত্র রয়েছে। ৩৩৬টি পরোয়ানার মধ্যে ২৯৪টি ওয়ারেন্ট তামিল হয়েছে।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে নগরীর দামপাড়ায় সিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি-মিডিয়া) কাজী মো. তারেক আজিজ এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, নগর পুলিশের ১৬ থানায় টহল কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া আমাদের যে কমিউনিটি পুলিশের কমিটি ছিল সেগুলো আমরা ভেঙ্গে দিয়েছি। সেগুলো নতুন করে সাজাবো। শহরের অলিতে গলিতে নিয়মিত টহল কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। কমিশনার মহোদয়ের নির্দেশনায় নগরীর সব থানায় মোটরসাইকেল করে পেট্রোল ডিউটি বাড়ানো হয়েছে।’

পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, গত ১৫ দিনে মাদকের মামলা হয়েছে ২৬টি। উদ্ধার করা হয়েছে ১৯ হাজার ইয়াবা ও ১৮ কেজি গাজা। এছাড়া দেশি-বিদেশি মদও উদ্ধার করেছে পুলিশ সদস্যরা। এছাড়া সিএমপি কমিশনার মহোদয় ওপেন হাউজ ডে তে প্রতি মঙ্গলবার সাধারণ মানুষের অভিযোগ শুনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

তিনি আরও জানান, ‘মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বায়েজিদ এলাকায় একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করার হয়। এছাড়া গত ৫ আগস্ট হালিশহর ও কোতোয়ালী থানায় লুটপাটের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে লুট করা ২০টির মতো মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। তারা সবাই টোকাই শ্রেণির বলে জানান তিনি।

তারেক আজিজ জানান, ‘গত ৫ আগস্ট নগরীর বিভিন্ন থানা থেকে ৯৪৮টি অস্ত্র লুট করা হয়েছিল। এরমধ্যে উদ্ধার হয়েছে ৭৮২টি অস্ত্র। বাকি অস্ত্রগুলো উদ্ধার করতে পুলিশের অভিযান অব্যহত আছে।

ট্রাফিক বিভাগ পুরোপুরি সচল হয়েছে জানিয়ে এডিসি তারেক আজিজ বলেন, ‘সিএমপিতে সবার আগে আমাদের ট্রাফিক বিভাগ সচল হয়েছে। গত এক মাসে ২ হাজার ৮৭৯টি মামলা হয়েছে। জরিমানা করে ৮৯ লাখ ৮০ হাজার ৬৫০ টাকা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া ১ হাজার ৮৯৪টি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, রেজিস্ট্রেশনবিহীন ৭৩০টি সিএনজি অটোরিকশা ও ১ হাজার ৭৯৮টি বিভিন্ন যানবাহন আটক করা হয়েছে।

ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে গুলি চালিয়ে হত্যাকারীদের গ্রেফতার প্রসঙ্গে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ছবি ও ভিডিও দেখে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে। যদি তারা বাংলাদেশে থাকে তাহলে অবশ্যই তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

সিএমপির সব পুলিশ সদস্য কাজে যোগ দিয়েছেন জানিয়ে এডিসি তারিক আজিজ বলেন, কোনো সদস্য অনুপস্থিত নেই। সিএমপি পূর্ণ পরিসরে বিপুল গতিতে কাজ শুরু করেছে। আমরা মানুষকে আশ্বস্ত করতে চাই। আপনারা আসুন, অভিযোগ করুন। সে অভিযোগের ভিত্তিতেই আমরা কাজ পরিচালনা করব। এর মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে পুলিশের যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে সেটা অন্তত কমে আসবে।