মিরসরাইয়ে সিএনজিকে ট্রাকের ধাক্কা, একই পরিবারের চারজন নিহত

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে পিছন থেকে ট্রাকের ধাক্কায় শিশুসহ একই পরিবারের চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, নুরজাহান বেগম (৫৫), তাঁর মেয়ে কাজল রেখা (২৫), কাজলের সাত মাস বয়সী ছেলে আনার ও কাজলের বোন শিরিন আক্তার (২০)। এ ঘটনায় আহতরা হলেন, সাইফুল ইসলাম ও নিজাম উদ্দিন।

মঙ্গলবার ( ১৫ অক্টোবর) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে উপজেলার বড়তাকিয়া খৈয়াছরা ঝরনা রাস্তার মাথা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতরা সবাই সীতাকুণ্ড উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বগাচতর এলাকার জামান মিস্ত্রি বাড়ির বাসিন্দা। তাঁরা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে হাইওয়ে পুলিশ জানান, সীতাকুণ্ডের মহানগর এলাকা থেকে অটোরিকশা নিয়ে খৈয়াছরা এলাকায় আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। অটোরিকশাটি খৈয়াছরা ঝরনা রাস্তার মাথায় পৌঁছানোর পর মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে যায়। তবে দাঁড়িয়ে যাত্রী নামানোর আগে ভুট্টা বোঝায় একটি দ্রুতগামী ট্রাক পেছন থেকে সজোর ধাক্কা দিয়ে মহাসড়কের পাশে খাদে উল্টে যায়। দুর্ঘটনায় অটোরিকশাটি দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার যাত্রী নুরজাহান বেগম, তার মেয়ে কাজল রেখা ও কাজলের সাত মাস বয়সী শিশু ছেলে আনারের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয় শিরিনা আক্তার, সাইফুল ইসলাম ও নিজাম উদ্দিন। দুর্ঘটনা পরবর্তীতে গুরুতর আহত তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিরীন আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার ইনচার্জ (পরিদর্শক) সোহেল সরকার  বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নারী শিশুসহ একই পরিবারের চারজন নিহত হয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত অপর দুই যাত্রী চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। দুর্ঘটনা পরবর্তীতে মহাসড়ক থেকে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক ও সিএনজি অটোরিকশাটি সরিয়ে হাইওয়ে থানা হেফাজতে এনে রাখা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

অপরদিকে চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) রুল আলম জানান, মিরসরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত তিন নারী-পুরুষকে চমেক হাসপাতালে জরুরি বিভাগে আনা হয়। এ সময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত নারী শিরিন আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন।