বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী কাউসার মাহমুদকে বাঁচানো গেল না। রোববার রোববার (১৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। কাউসার লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের আব্দুল মোতালেবের ছেলে। পরিবারসহ তিনি থাকতেন চট্টগ্রামে।
আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার জানাজা হবে। পরে সেখান থেকে মরদেহ চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হবে। সেখানে রাতে আব্দুর রহমান মাতব্বর জামে মসজিদে আবার জানাজাশেষে পাশের কবরস্থানে তাকে দাফন করার কথা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার নিউমার্কেট এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন কাউসার মাহমুদ। প্রাথমিকভাবে তাকে আগ্রাবাদ ইসলামী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে একই হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয় তাকে।
পরে গত ২২ সেপ্টেম্বর কাউছার মাহমুদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার পুনরায় অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম সেনানিবাসকে জানায়।
২৮ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিশিয়াল পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে জানানো হয়, চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী কাউসার মাহমুদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে আগের দিন তাকে চট্টগ্রাম সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়।
পরে চট্টগ্রাম সিএমএইচের সহযোগিতায় ২৪ পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আর্মি অ্যাভিয়েশনের হেলিকপ্টারে করে ওই দিনই (২৮ সেপ্টেম্বর) উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়।
রোববার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে জুলাই আন্দোলনে অংশ নেন চট্টগ্রাম বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী কাউসার মাহমুদ। উত্তাল সে আন্দোলন চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ছোড়া গুলি তার শরীরে লাগে। দীর্ঘদিন লড়াই করে ঢাকার সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাউসার মাহমুদের মৃত্যু হয়।