সাকিবের দেশে আসতে ও দেশ ছাড়তে বাঁধা নেই : ক্রীড়া উপদেষ্টা

কানপুর টেস্টের আগে সাদা পোশাকের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন সাকিব আল হাসান। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ টেস্ট খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। কিন্তু হত্যা মামলার আসামি হওয়ায় তার দেশে ফেরা নিয়ে দেখা দেয় সংশয়। তবে সাকিবের দেশে ফেরার ব্যাপারে আইনি কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসরের আগে আজ (রোববার) মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এ সময় সাকিবের দেশে আসা কিংবা খেলা শেষে দেশত্যাগ নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে তিনি পুরো বিষয়টি নিয়ে নিজের অভিমত জানিয়েছেন।

রোববার বিসিবিতে সংবাদ সম্মেলনে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘একজন ক্রিকেটার তিনি খেলবেন এবং তিনি বাংলাদেশের নাগরিক, আসার ক্ষেত্রে তো কোনো বাধা আমি দেখি না। তবে যেটা দেয়াল লিখনের কথা বলছেন বা সোশাল মিডিয়ায় কিছু দেখেছি, এটা তো আসলে আবেগের ব্যাপার। তাদেরও ওই অধিকার আছে। গণতান্ত্রিক দেশ, সাংবিধানিক অধিকার যেকোনো ধরনের মুভমেন্ট বা যেকোনো কিছু করার। তবে এক্ষেত্রে আমার আহ্বান থাকবে কারও নিরাপত্তা যেন হুমকির মুখে না ফেলি।

ক্রীড়া উপদেষ্টা আরো আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘রাষ্ট্রের জায়গা থেকে প্রত্যেক নাগরিকেরই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দায়িত্ব। ক্রিকেট দলেরও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সেটা আমরা নিশ্চিত করব এবং আমি মনে করি যে আবেগের একটা জায়গা অবশ্যই আছে। যেহেতু বড় একটা আন্দোলন হয়েছে এবং সাকিবের আগের ফ্যাসিবাদী সরকারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। যেটা উনি ক্লিয়ারেন্স দিয়েছেন উনার পোস্টে। তারপরও কিছু ইমোশন রয়ে গেছে। যৌক্তিক কিংবা অযৌক্তিক ওই প্রশ্নে যাব না। সেটা অন্য বিতর্ক।’

বিষয়টি নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কোনো কথা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে ক্রীড়া উপদেষ্টার জবাব, ‘আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদেরও কথা হয়েছে। আসিফ নজরুল (আইন উপদেষ্টা) স্যার ইতোমধ্যে বলেছেন সংশ্লিষ্টতা না পেলে প্রাথমিক তদন্তেই যে মামলা হয়েছে, ওখান থেকে নাম বাদ পড়ে যাবে।

প্রসঙ্গত, আগামী ১৬ অক্টোবর দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ আসবে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২১ অক্টোবর মিরপুরে হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। সেই টেস্ট খেলে ফরম্যাটটিকে বিদায় জানাতে চান সাকিব। তবে তার দেশে আসার বিষয়টি আপাতত আইন মন্ত্রণালয়ের ওপর নির্ভর করছে বলে মনে হচ্ছে ক্রীড়া উপদেষ্টার মন্তব্যের পর। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ২৯ অক্টোবর চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হবে।