খাতুনগঞ্জের গৌরব ঐতিহ্য ফেরাতে হবে: পদেষ্টা ফারুক ই আজম

দেশের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের গৌরব ঐতিহ্য ফেরাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীরপ্রতীক।

শনিবার (১২ অক্টোবর) সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের অনুদান গ্রহণ ও মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা এবং দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বীর প্রতীক ফারুক-ই-আজমকে ৬৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা প্রদান করে খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন।

উপদেষ্টা বলেন, খাতুনগঞ্জ বাণিজ্যের হৃদস্পন্দন। বাণিজ্য চট্টগ্রামের মানুষের মানস গঠনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছে। ‘খাতুনগঞ্জে পণ্য পরিবাহী গাড়িগুলো কিভাবে যেতে পারে, কিভাবে এ ধরনের সুযোগ-সুবিধাগুলো বাস্তবিকভাবে কম খরচে হতে পারে। যদি আপনারা না পারেন, তাহলে প্রয়োজনে পরামর্শ নেন। আমরা কেউ বিছিন্ন নই। সবাইকে সম্মেলিতভাবে এটাকে গড়ে তুলতে হবে। কারো উপরে দায় চাপিয়ে না। কিভাবে পরিবর্তন হবে, তা নিয়ে আপনারা ভাবেন। আপনাদের ভাবার সঙ্গে আমরা যুক্ত হতে চাই।

আমরা অভিযাত্রী, বিশ্বের বিভিন্ন বন্দরে প্রান্তরে আমরাই প্রথম অভিযান শুরু করেছি। সুতরাং কী করলে অব্যবস্থাপনা দূরীকরণে সর্বোত্তম উপায় হবে, সে বিষয়ে আমাদের জানাবেন। আমরা চেষ্টা করবো আপনাদের সমস্যা আপনাদের মতো করে সমাধান করতে।
চট্টগ্রামের চেম্বারে বৈষম্য ও অব্যবস্থাপনার কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রাম চেম্বার কাদের শাসন করার কথা, বিগত দিনে কারা শাসন করেছে। অথচ এটা ব্যবসায়ীদের সংগঠন। সেজন্য বাণিজ্যে কোথায় বৈষম্য ও অব্যবস্থাপনা তা ব্যবসায়ীদেরই খুঁজে বের করতে হবে। কোন ব্যক্তি বা সরকারের একার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। আপনাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ব্যবসা-বাণিজ্যে আমূল সংস্কার হয়ে যাবে ।

উন্নয়নে অব্যবস্থাপনার কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা-মাওয়া রোড কি আপনারা দেখেছেন? ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডের পরিস্থিতি আমাদের উন্নয়নের কোন গভীর খাদে নিপাতিত করেছে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। এ ছাড়াও চট্টগ্রামের কর্ণফুলী টানেল কার নির্দেশে, কাদের জন্য করা হয়েছে তা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করে দেখলে তবে অনেক কিছুই জানতে পারবো।

এ সময় ফারুক ই আজম এটাই সংস্কারের শেষ সুযোগ উল্লেখ করে বলেন, আমরা অনেকদিন ক্ষমতায় থাকতে আসিনি, পরিবর্তন করতে এসেছি। আমরা যদি পরিবর্তন করে দিয়ে যেতে না পারি তবে এই দেশ শেষ হয়ে যাবে। কি চাকরিজীবী, কি পেশাজীবী, আমরা যদি মর্যাদা নিয়ে বাঁচতে চাই তবে এ অগ্রযাত্রায় প্রত্যেককে সহযোগী হতে হবে।

এ সময় ‍উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, খাতুনগঞ্জ ট্রেড এসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বিএসএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল বশর, সাধারণ সম্পাদক ছগীর আহম্মেদ, উপদেষ্টা তৈয়বুর রহমান, সহ-সভাপতি আবদুস সালাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক আহমদ রশিদ আমু প্রমুখ।