চট্টগ্রাম নগরে জেএমসেন হল প্রাঙ্গনের পূজামণ্ডপের অনুষ্ঠান মঞ্চে ইসলামি সংগীত পরিবেশনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এই দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন শহিদুল করিম (৪২) ও নুরুল ইসলাম (৩৪)।গ্রেপ্তার দুজনই মাদ্রাসা শিক্ষক বলে জানা গেছে। এর মধ্যে শহীদুল করিম তানজিমুম উম্মা মাদ্রাসা ও মো. নুরুল ইসলাম দারুল ইরফান মাদ্রাসার শিক্ষক।
এদিকে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) রইছ উদ্দিন জানান, জেএমসেন হলে পূজামণ্ডপে ইসলামী সংগীত গাওয়ার ঘটনায় দুই মাদ্রাসা শিক্ষকের সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা তা খোঁজা হচ্ছে। তাদের নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে তারা পূজা উদযাপন পরিষদের একজন যুগ্ম সম্পাদক সজল দত্তের আমন্ত্রণে সেখানে গিয়েছিলেন।
শুক্রবার ( ১১ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান তিনি।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। আটক দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ওই ঘটনায় তাদের কোনো অসৎ উদ্দেশ্য থেকে থাকে এর ভিতিতেই সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিএমপির এ কর্মকর্তা বলেন, ‘যারা তাদেরকে এ অনুষ্ঠানে ইনভাইট করেছিল, তাদের সঙ্গেও আমরা কথা বলার চেষ্টা করেছি। বিশেষ করে যার নাম উঠে এসেছে, তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদের চেষ্টা চলছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাকে আমরা পাইনি। চেষ্টা চালাচ্ছি।
উপ-কমিশনার (অপরাধ) রইছ উদ্দিন বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে অন্যান্য দিনের মতো পূজামণ্ডপে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানে দর্শনার্থীরা এসছিলেন। তারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করছিলেন। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির কিছু শিল্পী পূজা কমিটির একজন সদস্যের (সজল দত্ত) অনুরোধে পূজামণ্ডপের স্টেজে গান পরিবেশন করেন। তারা দুটি গান পরিবেশন করেন। এর মধ্যে একটি গানের শব্দচয়ন পূজার্থী পূণ্যার্থীর মনে আঘাত হানে। বিষয়টি অতি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পরপর অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি মামলার প্রক্রিয়া চলছে। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, পেছনে কোনো উদ্দেশ্য ছিল কিনা সেগুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। এ ঘটনায় কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা সেটিও তদন্তে আসবে।’