সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা স্থায়ীভাবে যুক্তসহ রাষ্ট্র সংস্কারে ১০ প্রস্তাবনা জামায়াতের

সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সংবিধানে স্থায়ীভাবে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা যুক্ত করাসহ রাষ্ট্র সংস্কারে সেক্টর অনুযায়ী আলাদা আলাদা ১০টি প্রস্তাবনা তুলে ধরেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

বুধবার (০৯ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

সংস্কারের প্রস্তাবনা তুলে ধরে ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক সংস্কার করতে হবে। বিচারবিভাগ সংস্কার করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের অধীনে আইন কমিশন গঠন করতে হবে। সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে। বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্টের বেঞ্চ গঠন করতে হবে। সর্বোচ্চ পাঁচ ও তিন বছরের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে। সংসদে বিরোধীদলের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সংবিধানে স্থায়ীভাবে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা যুক্ত করতে হবে। একদিনেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, কোনো সরকারি চাকরিজীবী অবসরের তিন বছরের আগে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন করতে হবে। পুলিশে ধর্মীয় শিক্ষা চালু করতে হবে। রিমান্ডে নেওয়ার সময় পরিবারের প্রতিনিধির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। র‍্যাব সংস্কার করতে হবে, যাতে বাহিনীর প্রতি আস্থা ফিরে আসে। এ ক্ষেত্রে যারা আগে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদেরকে বাহিনীতে রাখা যাবে না। জনপ্রশাসনে যোগ্যতা, দক্ষতা ও সততাকে প্রাধান্য দিতে হবে। সরকারি চাকরিতে আবেদন বিনামূল্যে করতে হবে। কোনো ফি রাখা যাবে না।

ডা. তাহের বলেন, চাকরিতে বিরাজমান আন্তঃক্যাডার বৈষম্য দূর করতে হবে। যারা চাকরিতে থেকে দুর্নীতি ও অন্যায় করেছেন তাদেরকে বহিষ্কার করতে হবে। দুদকে যোগ্য, দক্ষ এবং সৎ ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে হবে। এক ব্যক্তি পর পর দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। সকল শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানের ইতিহাস এবং মহানবী (সা.) এর জীবনী অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সংস্কৃতির সংস্কার করতে হবে। প্রাণীর মূর্তি নির্মাণ না করে দেশি সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে হবে। পররাষ্ট্র ক্ষেত্রে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। বিগত সরকারের আমলে সম্পাদিত চুক্তি রিভিউ করতে হবে। এজন্য একটি রিভিউ কমিশন গঠন করা যেতে পারে। বাংলাদেশকে আসিয়ানের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।