চট্টগ্রামে সাবেক ভূমিমন্ত্রী জাবেদসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা

চট্টগ্রামে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের হয়েছে। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সকালে জেলার আনোয়ারা থানায় এ মামলা দায়ের করেন উপজেলার বারশত ইউনিয়নের বোয়ালিয়া দুধকুমড়া ৫ নম্বর ওয়ার্ডের এরশাদ নাবিল খান। তিনি একই এলাকার মো. সৈয়দ নুরের ছেলে।

মামলার আসামিরা হলেন— সাবেক ভূমিমন্ত্রীর একান্ত সচিব রিদুয়ানুল করিম সায়েম (৩৮), উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক বোরহান উদ্দিন চৌধুরী মুরাদ, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য এসএম আলমগীর চৌধুরী, হাইলধর ইউপি চেয়ারম্যান কলিম উদ্দিন, যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অনুপম চক্রবর্তী, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছগির আহম্মদ আজাদ, আইয়ূব আলী, রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিন শরীফ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল আজিজ, ছাত্রলীগ নেতা রবিউল হায়দার রুবেল, জুঁইদণ্ডি ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইদ্রিস, চাতরী ইউপি চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন চৌধুরী সোহেল, সদর ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমার দেব ও পরৈকোড়া ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক বাবুল। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, ‘সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে শুক্রবার সকালে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের বিষয়ে মামলা হয়েছে। মামলায় আরও পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার বাদী এরশাদ নাবিল খান বলেন, ‘এতো বছর স্বৈরাচার আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় থাকায় এবং সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ প্রভাবশালী হওয়ায় আমি কোন মামলা বা অভিযোগ করতে পারিনি। এখন পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের সাথে আলোচনা করে উল্লেখিত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছি।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৭ আগস্ট সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শহরে যাওয়ার জন্য চাতরী মসজিদের সামনে সড়কের ওপর গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন ঠিকাদারি ব্যবসায়ী এরশাদ নাবিল খান। এ সময় ২ নম্বর থেকে ১৫ নম্বর অভিযুক্তরা একটি এ্যাস রঙের প্রাইভেটকার এবং সাদা রঙের মাইক্রোবাসে ৫ থেকে ৬ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাকে ঘেরাও করেন। এ সময় টেনে-হিঁচড়ে গাড়িতে তুলে খুন করার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম শহরের দিকে নিয়ে যান। পরে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে একটি ঘরে আটক করে মারধর এবং মুক্তিপণ হিসেবে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন আসামিরা। পরে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে মুক্তি পান তিনি। সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের নির্দেশনায় এসব কাজ হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় মামলার এজাহারে।