চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বর্ণ উদ্ধারের ঘটনায় হওয়া মামলায় মোহাম্মদ লুৎফর রহমান (৪১) নামে এক ব্যক্তিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও চার মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের স্পেশাল ট্রাইবুন্যাল-১ এর বিচারক জাকির হোসাইনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিত লুৎফর রহমান কক্সবাজারের মহেশখালীর ধলঘাটা গ্রামের আলহাজ্ব ফেরদৌস আহম্মেদের ছেলে।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের কর্মকর্তা দীপেন দাশগুপ্ত জানান, ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আসামি লুৎফুর রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৪ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ের সময় আসামি অনুপস্থিত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা মূলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার নথি পর্যালোচনায় জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শারজাহ থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন লুৎফর। ইমিগ্রেশন সম্পন্নের পর ব্যাগেজ নিয়ে কাস্টমসের গ্রীণ চ্যানেল অতিক্রম করার সময় তল্লাশিতে তার কাছ থেকে চারটি খেলনা গাড়ি আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে আগে কোনও অভিযোগ না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে কাস্টমসের সদস্যরা খেলনা গাড়িগুলো ভেঙে পূর্ণ ও ভাঙ্গা অবস্থায় ৯০টি সোনার পাত উদ্ধার করে। যার ওজন এক কেজি ৪০৬ গ্রাম এবং তৎকালীন মূল্য ছিল ৬০ লাখ টাকা। এ ঘটনায় চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা অরবিন্দ মণ্ডল বাদী হয়ে একইবছরের ১১ ডিসেম্বর নগরীর পতেঙ্গা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেন। ১১ জনের সাক্ষ্য নিয়ে বৃহস্পতিবার এ রায় দিয়েছেন আদালত।