বাংলাদেশ পুলিশের মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) ময়নুল ইসলাম বলেছেন, পুলিশের সঙ্গে জনগণের যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল, তা কাটাতে কাজ করা হচ্ছে। মনোবল ফিরিয়ে এনে পুলিশকে কার্যকর করতে সব ব্যবস্থা ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে। পুলিশের যানবাহন সমস্যা, জনবল সমস্যা নিরসন করা হচ্ছে। প্রতিটি সদস্য নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে উদগ্রীব। ইতোমধ্যে পুলিশের সকল ইউনিট কার্যক্রম শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ছাত্র আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছে, প্রত্যেক হত্যার সুষ্টু তদন্ত ও বিচার হবে। মব জাস্টিসের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মব জাস্টিসের নামে কেউ আইন হাতে তুলে নিলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
আজ শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের দামপাড়া পুলিশ লাইনস্থ পুলিশ কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ সব কথা বলেন।
মামলার ক্ষেত্রে সরাসরি আমাদের ভূমিকা রাখার সুযোগ নেই জানিয়ে আইজিপি বলেন, মামলায় অনেক সাংবাদিকের নাম আছে। তেমনি অনেক পুলিশ সদস্যও আসামি হয়েছেন। সাংবাদিক মহলের চেয়ে পুলিশের সদস্য অনেক বেশি। যারা সত্যিকার অর্থে ঘটনায় জড়িত, তাদের আসামি করলে মামলা শক্ত ও তদন্ত করা সহজ হয়। অনেক ক্ষেত্রে বিজিবি, ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনদের আসামি করা হয়েছে।
আইজিপি ময়নুল ইসলাম বলেন, আমরা পুলিশকে বলেছি, থানায় মামলা রেকর্ড করার আগে যাচাই-বাছাই করে দেখে নেওয়ার জন্য। মামলা হলে যে গ্রেপ্তারের আওতায় আসবে তা নয়। কেউ যদি সত্যিকার অর্থে জড়িত, তা হলে তাকে গ্রেপ্তার করা যাবে। নিরীহ কাউকে যদি আসামি করা হয়, সেটা যাচাই-বাছাই হবে। সুতরাং এটা নিয়ে ভীত হওয়ার কারণ নেই। প্রতিটি মামলা বিশ্লেষণ করে আমরা পৃথক তদন্ত কমিটি করেছি।
এ সময় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম শহিদুর রহমান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হাসিব আজিজ ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) আবদুল মান্নান মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।