মিরসরাই ট্র্যাজেডিতে নিহতদের স্মরণ

মিরসরাই ট্র্যাজেডির ১০ম বর্ষপূর্তিতে স্মৃতিস্তম্ভ ‘আবেগ’ ও ‘অন্তিম’ এ ফুল দিয়ে নিহতদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাজনীতিবিদ, শিক্ষকসহ বিভিন্ন সংগঠন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এ বছর সংক্ষিপ্ত কর্মসূচি হিসেবে স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি কোরানখানী, মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।

রোববার (১১ জুলাই) সকালে মিরসরাইয়ের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের পক্ষ থেকে স্মৃতিস্তম্ভে প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আইটি বিশেষজ্ঞ মাহবুব রহমান রুহেল, উপজেলা পরিষদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ, আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়, উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সমিতি, উপজেলা যুবলীগ, উপজেলা ছাত্রলীগ, মায়ানী ইউনিয়ন ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রজন্ম মিরসরাই শ্রদ্ধা জানায়।

এ সময় ১১ জুলাইকে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ঘোষণার দাবি জানিয়ে মাহবুব রহমান রুহেল বলেন, মিরসরাই ট্র্যাজেডি পুরো বিশ্ববাসীকে নাড়া দিয়েছিল। চালকের অদক্ষতার কারণে এ দুর্ঘটনা হয়েছিল। ট্র্যাজেডি থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বাল্যবিবাহ বেড়ে গেছে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা মোবাইল গেইমস ও মাদকে আশক্ত হয়ে পড়ছে। তাই অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দুরত্ব মেনে চলার অনুরোধ করেন তিনি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, মিরসরাই ট্র্যাজিডিতে যে সকল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে আওয়ামী লীগ সব সময় তাদের পরিবারের পাশে থাকবে। মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ট্র্যাজিডিতে নিহত কোনো শিক্ষার্থীর পরিবারের যদি ঘর প্রয়োজন হয় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের ঘর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

এ সময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এম আলাউদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, সহসভাপতি শাখাওয়াত উল্লাহ রিপন, মিহির কান্তি নাথ, সরোয়ার উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক একেএম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া, মায়ানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির আহমদ নিজামী, মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাস্টার, ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুল কবির ফিরোজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এসএম আবুল হোসেন, সাইফুল্লাহ দিদার, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ইমন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আরিফ মঈন উদ্দিন, সদস্য নুরুল গনি, আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মর্জিনা আক্তার, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাইনুর ইসলাম রানা, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল ভূঁইয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাসুদ করিম রানা উপস্থিত ছিলেন।

২০১১ সালের ১১ জুলাই মিরসরাই স্টেডিয়াম থেকে বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল ফাইনাল খেলা শেষে ফেরার সময় শিক্ষার্থীদের বহনকারী একটি পিকআপ বড়তাকিয়া-আবুতোরাব সড়কের সৈদালী এলাকায় পাশের একটি ডোবায় উল্টে যায়। যেখানে ৪৪ জন স্কুল ছাত্রসহ ৪৫ জন নিহত হন। মিরসরাই ট্র্যাজিডিতে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী নিহত হওয়া আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের মূল ফটকে নির্মাণ করা হয় স্মৃতিস্তম্ভ ‘আবেগ’ আর দুর্ঘটনাস্থলে নির্মাণ করা হয় স্মৃতিস্তম্ভ ‘অন্তিম’।

মিরসরাই ট্র্যাজেডিস্মরণ
Comments (২৩)
Add Comment