‘মুরুব্বি মুরুব্বি, উঁহু উঁহু’ বলায় কিশোরীর শরীরে গরম পানি ঢেলে দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত সায়েরা খাতুনকে (৬০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দগ্ধ কিশোরী পপি আকতার (১২) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বাবা মফিজুর রহমান ও মা বেবী আকতার আগেই মারা গেছেন। এর পর থেকে পপি নানার বাড়িতে বসবাস করে আসছেন বলে জানা গেছে।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বটতলী গ্রাম থেকে ওই নারীকে গ্রেফতার করা হয়।
আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনির হোসেন অভিযুক্ত নারীকে গ্রেফতারের বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তার সায়রা খাতুন আনোয়ারা উপজেলার জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবুল কালামের স্ত্রী।
স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে নানার বাড়ির উঠোনে পপিসহ কয়েকজন শিশু-কিশোর খেলছিল। এ সময় এয়ার মোহাম্মদ নামে এক বৃদ্ধকে (৬৫) দেখে ‘মুরব্বি মুরব্বি, উঁহু উঁহু’ বলে ঠাট্টা করেন শিশুরা।
কিছুক্ষণ পর এয়ার মোহাম্মদের ছোট ভাই আবুল কালামের স্ত্রী সায়েরা খাতুন বালতিতে করে গরম পানি এনে পপির শরীরে ঢেলে দেন। এতে তার শরীর ঝলছে যায়। পরে গুরুতর আহত পপিকে প্রথমে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
রোববার সকাল থেকে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হতে থাকে এবং নানামুখী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। সন্ধ্যায় কিশোরী পপির নানা আমির হোসেন আনোয়ারা থানায় মামলা দায়ের করেন। এর পর রাতে পলাতক অবস্থায় থাকা সায়েরা খাতুনকে গ্রেফতার করা হয়।