গুলিতে পথচারী হত্যা : হাসান-নওফেলসহ ৫২৫ জনের নামে মামলা

গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ছাত্র-জনতার বিজয় মিছিলে গুলি চালিয়ে মোহাম্মদ আলম নামে এক পথচারীকে হত্যার দায়ে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেলসহ ২২৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে।

রোবরার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে নিহতের ভাই জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে নগরের ডবলমুরিং থানায় মামলাটি দায়ের করেন। নিহত মোহাম্মদ আলম নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানার মধ্যম নলুয়া গ্রামের মোহাম্মদ আবদুছ ছোবাহানের ছেলে।

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক আহমেদ বলেন, সরকার পতনের দিন মো. আলম হত্যার ঘটনায় থানায় ২২৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০ থেকে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে।

নগরের ডবলমুরিং থানার মনসুরাবাদ পুলিশ লাইনের সামনে মো. আলম নামে এক চাকরিজীবীকে হত্যার অভিযোগে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ ২২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার আনিসুল হক মাহমুদ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ সালাম, সাবেক সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু, এমএ লতিফ, মো. দিদারুল আলম দিদার, আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী, আব্দুল্লাহ আল মামুন, জাতীয় পার্টির চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি সোলেমান আলম শেঠ, সাবেক কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, মোবারক, তৌফিক আহম্মদ চৌধুরী, জাফর আলম চৌধুরী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, শৈবাল দাশ সুমন, আব্দুর সবুর লিটন, পুলক খাস্তগীর, আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল, এসরারুল হক ও জহুর লাল হাজারী প্রমুখ।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৫ আগস্ট বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন। গত ৫ আগস্ট বিকেলে নগরের ডবলমুরিং থানার মনসুরাবাদ পুলিশ লাইনের সামনে আনন্দ মিছিল বের করা হয়। বিপরীতে কিছু দুষ্কৃতকারী অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় হামলা, ভাঙচুর, গুলি ও অগ্নিসংযোগ করে। মসজিদ থেকে নামাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে হঠাৎ দুষ্কৃতিকারীদের ছোড়া গুলি লাগে ভিকটিম মো. আলমের মাথায়। পরে মো. আলমকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মা ও শিশু ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।